ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল, মৃত ১২৮ জনের
শুক্রবার রাত রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে উঠলো রুকুম ও জাজারকোট। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। জানা গিয়েছে, এখন অবধি মৃত্যু হয়েছে ১২৮ জনের এবং আহত হয়েছেন ১০০ জন। তবে মনে করা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নেপাল: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল। শুক্রবার রাত রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে উঠলো রুকুম ও জাজারকোট। কম্পনের মাত্রা ৬.৪। জানা গিয়েছে, এখন অবধি মৃত্যু হয়েছে ১২৮ জনের এবং আহত হয়েছেন ১০০ জন। তবে মনে করা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ট্যুইট করে জানান, শুক্রবার রাতে এই ভূমিকম্পে ক্ষতি হয়েছে অজস্র মানুষের।এই কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেনও তিনি। রুকুম পশ্চিমের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার হরিপ্রসাদ পন্থ জানিয়েছেন, “স্থানীয় হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এখনো অনেকেরই অবস্থা শোচনীয়।”
এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন কিভাবে ভূমিকম্পের জেরে মুহুর্তের মধ্যে সব বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে যায়। এখনও বহু মানুষের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। তবে এই ভূমিকম্পের প্রভাব শুধু নেপাল অবধি সীমিত নয়। কেঁপে উঠেছিল দিল্লি, এনসিআপ, অযোধ্যা, লখনউ এবং বিহারের মতো ভারতের বেশ কিছু জায়গাও। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দেখতে হলে, তিব্বতীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয় নেপালে। সবচেয়ে আঁতকে ওঠার মতো বিষয়, নেপাল বিশ্বের ১১তম দেশ যেখানে সবসময় ভূমিকম্প হয়। ২০১৫ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে প্রচন্ড ক্ষতি হয়েছিল এই দেশের। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৯ হাজার মানুষের।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে চারবার ভূমিকম্প হয়েছিল নেপালে। এই ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল ভারতবর্ষের কয়েকটি রাজ্য। শেষবার ভূমিকম্প হয়েছিল ২২ অক্টোবর। ‘ন্যাশনাল আর্থকোয়েক মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ জানিয়েছিল, সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে কাঠমন্ডুতে এই ভূমিকম্প অনুভব করা গেছিলো। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিলো ৬.১। শুধু কাঠমান্ডুতে নয়, বাগমতি এবং গন্ডাকিতেও এই দুর্যোগ অনুভব করা গেছিলো। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিলো ধাদিং জেলা।