এখানে কালী মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন, তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় মা কে..
ধনিয়াখালী - ভান্ডারহাটির কেশবরপুরের জাগ্রত কালী মা.. সবার মনস্কামনা পূর্ণ করেন মা.. বলির সময় মা রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন, তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়..

ধনিয়াখালী: আনুমানিক ৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল কেশবপুরের কালীপুজো । প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় করেন এখানে । মায়েরা নাকি আবার তিন বোন, বাকি দুজন হলেন বর্গক্ষত্রিয় পাড়ার কালী মা ( Borgokshatriya para kali mondir ) ও দুলেপাড়া কালী মা ( Duleypara Kali Mandir ) । এক সময় এই গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে যেত বদরদহ খাল । কালী পুজোর এক ভোরে এই খালের পাশে তিন হাতের কালী প্রতিমা ( Kali Maa ) দেখতে পান গ্রামের মানুষেরা । কি ভাবে সেই প্রতিমা এলো তা নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়, গ্রামবাসীরা ভাবেন হয়তো মায়ের কৃপা আছে । বিশ্বাস-কে ভর করে তালপাতার ছাউনি দিয়ে শুরু হয় পুজো ।
তখন এই এলাকা বর্ধমানের ( Bardhaman ) রাজা উদয়চাঁদ মহাতপ এর অধীনে ছিল । রাজার ( Bardhaman Raja ) আদেশে পুজো শুরু হয় ১৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমার । চার বছর আগে অব্দি রাজার পরিবার থেকে পাঠা আস্ত বলির জন্য । আস্তে আস্তে দক্ষিণা কালী মায়ের ওপর বিশ্বাস বাড়তে থাকলো গ্রামবাসীদের ( Dhaniakhali ) । মন্দির ( Bhanderhati ) এর দক্ষিণ দিকে নতুন নির্মান করা শিব মন্দির ( Shiv Mandir ) আছে । মন্দিরের পুরোহিত রণজিৎ হালদার বলেন, এই জাগ্রত মা কে ঘিরে অনেক ঘটনা আছে । একজন নাকি ফাঁসির সাজা থেকে মুক্তি পেয়েছে মায়ের আরাধনা করে । বছরে দুই বার খুব বড়ো করে পুজো হয় । কার্তিক মাসের অমাবশ্যায় প্রতিমার পুজো হয় আর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার ঘটের পুজোয় হয় ।
বলি দেওয়া হয় একের পর এক পাঠা । বলির সময় মা রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন, ভক্ত রা যাতে ভয় না পান তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় মাকে । পুজো কমিটির ( Keshabpur Kali Mandir ) সম্পাদক সম্ভুনাথ ঘোষ ও সভাপতি মৃতুঞ্জয় হালদার বলেন, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন এখানে । দেবীর নির্দেশে নাকি আজও মন্দিরের ভেতরে আলো নেই । সেই সময়ে গ্রামে ( Keshabpur ) বিদ্যুৎ ছিল না, মন্দিরের ভেতরে আলো জ্বালানোর জন্য জেনারেটার ভাড়া করা হয়েছিল । জেনারেটার আর আলো দুই পুড়ে গেছিলো । তখন থেকেই মোমবাতি ও প্রদীপের আলো তে পুজো হয় মায়ের । মা ব্যান্ড বা বাজনা খুব পছন্দ করেন । এই গ্রামের ( Keshabpur Kali Maa ) প্রধান পুজো, তাই পুজোর সময় প্রতিটা বাড়ি উৎসবের চেহারা নেয় এবং আত্মীয় স্বজন আসেন অনেক । পুজোর ( Hooghly Kali Pujo ) পরের দিন সন্ধ্যায় বিসর্জন হয় । পাশের পাড়া থেকে মায়ের দুই বোন আসেন এবং মুখো মুখি তিন প্রতিমাকে কিছুখন রাখা হয় । তারপর অন্য অন্য ঘাটে বিসর্জন হয় ।