বিতর্কের মাঝেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হলো মহুয়াকে
এই খবর পেতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করেন মহুয়া। ট্যুইট করে জানান, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোটা তৃণমূল কংগ্রেসকে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। দলের পাশে আমি ছিলাম, আছি ও থাকবো। দলের জন্য সর্বদা লড়াই করব এবং সবসময়ে মানুষের পাশেই থাকবো।”

কলকাতা: নদীয়া জেলার (Nadia District) কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এথিক্স কমিটি (Ethics Committee) তাঁকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দিলেও, দল তাঁকে বহিষ্কার করতে নারাজ। বরং আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলো এই সাংসদকে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী (District President of Krishnangar, North Nadia) করা হয়েছে তাঁকে।
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক রদবদলের (Organisation Reshuffle List) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। সেটায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে এবং চেয়ারপার্সন (Chairperson) করা হয়েছে চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে (Rukbanur Rahman)। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের (Assembly Elections) পর থেকে এক একটি প্রশাসনিক জেলাকে একাধিক সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়। সেই সময়ে নদীয়া জেলার সভাপতি ছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু নদিয়াকে ভেঙে যখন কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটের (Ranaghat) মধ্যে ভাগ করা হয়, তখন তিনি শুধু সাংসদ হিসেবেই ছিলেন।
এই খবর পেতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেল (X Handle) থেকে একটি ট্যুইট করেন মহুয়া। কি ট্যুইট করে জানান, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোটা তৃণমূল কংগ্রেসকে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। দলের পাশে আমি ছিলাম, আছি ও থাকবো। দলের জন্য সর্বদা লড়াই করব এবং সবসময়ে মানুষের পাশেই থাকবো।” উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে হীরানন্দানি গোষ্ঠীর থেকে অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার অভিযোগ তোলেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিরলাকে তিনি চিঠি পাঠান মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এই মামলায় তাঁর সাথ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় আনন্দ দেহাদ্রাই। এমনকি তলবও করা হয় তাঁকে। কিন্তু শেষ অবধি চাপে পড়তে হয় মহুয়াকেই। এথিক্স কমিটির সদস্যরা তাঁকে বহিষ্কারের পক্ষেই ভোট দেন।