‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের বদলে বোমার আওয়াজ শোনা যায় বাংলায়’, তোপ শাহের

Amit Shah’s Kolkata Rally: অনুব্রত মণ্ডলের নাম করলেন অমিত শাহ! ধর্মতলার সভা থেকে বিস্ফোরক উক্তি..

পরের লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ যখন বাংলায় আসেন, তখন তিনি সেই পুরনো অস্ত্রকেই ধারালো করতে চাইলেন যেটা তিনি বুধবার ধর্মতলায় বৈঠকে ব্যবহার করেন । সুরাবর্দি খান থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায় (গোপাল পাঁঠা), সিএএ, অনুপ্রবেশ ইত্যাদিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতা স্থান পেয়েছে। এটি আবারও স্পষ্ট করে দেয় যে বিজেপি কোনওভাবেই “ধ্রুপদী কৌশল” থেকে বিচ্যুত হবে না। তৃণমূল এতে কড়া হেসে বলেছে যে শাহ ধর্মতলায় “ভুল চিরকুট” নিয়ে এসেছেন।

বুধবার শাহ ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের বাইরে একটি সমাবেশে তার বক্তৃতা শুরু করেন, সুরাবর্দি এবং গোপাল পাঁঠার বিষয়টি উত্থাপন করেন। “এই ময়দানেই সুরাবুর্দি খান ডায়রেক্ট অ্যাকশন প্ল্যানের কথা বলেছিলেন। আবার এই ময়দানেই সুরাবর্দির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ আজ ভারতের মধ্যে রয়েছে” দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ।

কিন্তু অনেকেই বলছেন, মেরুকরণের রাজনীতি করা ছাড়া বিজেপির কোনো বিকল্প নেই। কারণ সাম্প্রতিক সব নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সংখ্যালঘু ভোটে একচেটিয়া অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মেরুকরণের রাজনীতিতে জোর দিতে হবে বিজেপিকে।

লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।

তবে সামগ্রিকভাবে, শাহের বক্তৃতা বেশ কয়েকটি সামগ্রিক ভাবে মেরুকরণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন । পাল্টা তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করে, কুনাল বলেন, “এই সব কথাই অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতারা ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে করতে বলতেন। আমার মনে হয়, সেই পুরনো চিরকুট পকেটে নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তাই ফের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে গিয়েছেন।”




Leave a Reply

Back to top button