মাথার ঘিলু বেরিয়ে গেল জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে, গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আতঙ্ক

Jalpaiguri: শনিবার সকালে নূরজাহান বেগম নামের এক নারী ঘর থেকে বের হয়ে লাটাগুড়ি বনের বড় দিঘি বিটের এলাকার এসএস ৪ নম্বর ব্লকে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। সেই সময় ওই মহিলা হাতির মুখোমুখি ।

গ্রামবাসীরা তা অনুভব করেছে । গভীর রাতে গ্রামে ঢুকেছিল । ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। কিন্তু সকালে, মহিলা, কিছু না জেনে, জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করার সময় একটি হাতির মুখোমুখি হন। সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। শুঁড়ে তুলে দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক মহিলার। রবিবার সন্ধ্যায় মেটলি উত্তর ধুপজোড়ার জলপাইগুড়ি গ্রামের চারপাশে ফের একবার ঘুরে বেড়াচ্ছে তিনটি হাতি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম নূরজাহান বেগম। মেটেলি ব্লকের বামনি বনবস্তিতে থাকেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ধুপজোড়া গ্রামে তিনটি হাতির অবাধ বিচরণ। তাদের পায়ের চাপে বড় বড় ফসল নষ্ট হচ্ছে। বেশ কিছু অ্যাডোব বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতির আশঙ্কায় শিশু ও নারীরা সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হয় না। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা আবিষ্কার করেন যে তিনটি হাতি গ্রামে ঢুকেছে।

শনিবার গভীর রাতে, পাশের পান ঝোড়া বনে খাবারের সন্ধানে মেটেলি ব্লকের উত্তর ধুপজোড়া জয়ন্তী গ্রাম এলাকায় তিনটি হাতি ঢুকে পড়ে। গ্রামবাসীরা ধান ক্ষেতে হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা মশাল, আতশবাজি ও বাজি নিয়ে জড়ো হয় এবং হাতিটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি বন বিভাগকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু, দৃশ্যত, বনকর্তারা আসেননি। গ্রামবাসীরা নিজেরাই হাতিদের তাড়া করলেও দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাতিগুলোকে তাড়িয়ে বনে ফেরত পাঠানো হয়। হাতির ক্রমাগত আক্রমণে সারা গ্রামে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার সকালে নূরজাহান বেগম নামের এক নারী ঘর থেকে বের হয়ে লাটাগুড়ির বড় দিঘি বিটে এসএস-৪ এলাকায় কাঠ আনতে যান। এ সময় হাতির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই নারীর। হাতিটি তাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলে। এমনভাবেই আছাড় দেওয়া হয় মাথার ঘিলু বেরিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বনদফতরের কর্মীরা। মেটেলী থানার পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ে লাশের সন্ধানে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।




Leave a Reply

Back to top button