দার্জিলিংয়ে মরশুমের প্রথম তুষারপাত, বরফে মুখ ঢাকল সান্দাকফু

ফালুটের আশেপাশেও হয়েছে তুষারপাত। তবে তুষারপাতের জন্য এখনও কোথাও রাস্তা আটকে যায়নি বা পর্যটকরা কোথাও আটকে যাননি বলেই জানা গিয়েছে। সমতলে শুক্রবারও মেঘলা আকাশের সঙ্গে শীতল হাওয়া বইছে।

শীতের শুরু। মানেই একরাশ আনন্দ, ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পমা, মনপসন্দ খানাপিনা ও দেদার মজা, পিকনিক। সারাবছর অপেক্ষার পর শীতকাল আসে যেন একটি খুশির আমেজ নিয়েই। এবার একটু দেরি করে এলেও সেই আনন্দে কিন্তু ভাঁটা পড়েনি কারও। এর মধ্যেই বছরের প্রথম তুষারপাত পেল সান্দাকফু। কার্যত বরফের চাদরে ঢেকে পড়ে দার্জিলিংয়ের গোটা সান্দাকফু। বুধবার বিকেল থেকে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে তুষারপাত শুরু হয়। ‘লাকি’ পর্যটকরা এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে বড্ড খুশি। সকলেই বাইরে বেরিয়ে মুঠোফোনে বন্দি করতে থাকেন মুহূর্তগুলি।

দার্জিলিং পাহাড় থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী এলাকা, শিলিগুড়ি, বৃহত্তর শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মতো এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আবহাওয়া। শীতও পড়েছিল ভালোই। বাড়িতে বাড়িতে হয়েছিল খিচুড়ি রান্না। শীতকে স্বাগত জানাতেই এত আয়োজন করেছিলেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে পাহাড় ও সমতলে। বৃষ্টি নেমেছে সান্দাকফুতেও। কালো মেঘের চাদরে মুড়ে রয়েছে সিঙ্গলিলার জঙ্গল। এদিকে সমতলে বৃষ্টি নামতেই মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখা দিল পাহাড়ে। বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে সান্দাকফু-ফালুট সহ সিঙ্গলিলা রেঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ যেমন লেপচাজগত, সান্দাকফু, সিটং, ফালুটেও বরফ পড়েছে। পুজোর পর এমনিতেই পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে পাহাড়ে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার পরিকল্পনা করে পাহাড়ে এসেছেন।

জানা গিয়েছে, ফালুটের আশেপাশেও হয়েছে তুষারপাত। তবে তুষারপাতের জন্য এখনও কোথাও রাস্তা আটকে যায়নি বা পর্যটকরা কোথাও আটকে যাননি বলেই জানা গিয়েছে। সমতলে শুক্রবারও মেঘলা আকাশের সঙ্গে শীতল হাওয়া বইছে। এই আবহাওয়া আরও বেশ কয়েকদিন থাকবে। এর মধ্যে জাঁকিয়ে শীত পরবে বলে আবহাওয়া সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার থেকে গরম জামাকাপড়ের ভাঁজ খুলতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। সকালে পাতলা চাদর‌ কিংবা সোয়েটার চাপালেও রাতে অনেকটাই বেশি দরকার পড়ছে গরম জামাকাপড়ের। পাহাড়ে তুষারপাত হওয়ায় বেশ খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িতরা। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। আরও জাঁকিয়ে শীত পড়ার অপেক্ষায় এখন উত্তরবঙ্গবাসী। ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেকেই এর মধ্যে প্যাকিং শুরু করে দিয়েছেন।




Leave a Reply

Back to top button