অন্ধকার জীবনে আশার ‘আলো’ আলিপুর চিড়িয়াখানার

কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের পেইন্টিং বিভাগে রয়েছে এরকম ব্রেইল বোর্ড শুধুমাত্র দৃষ্টিহীনদের জন্য

জীবন ওদের অন্ধকারই। আলোর বিন্দুও নেই। কিন্তু ওরা তা সত্ত্বেও গেল চিড়িয়াখানায়। লুই ব্রেইল স্কুলের ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ঘুরে দেখল আলিপুর চিড়িয়াখানা। আলো বা দৃষ্টি নয়, শব্দ দিয়েই ওরা অনুভব করল পশুপাখিদের। ওদের এনেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চিড়িয়াখানায় এই প্রথমবারের জন্য এল ওরা।ব্রেইলে লেখা না থাকলে বুঝতে অসুবিধে হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কাছে তাই তাঁরা আর্জি জানালেন ব্রেইল বোর্ডের। লুই ব্রেইল স্কুলের ৫০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রীর পাশে রয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘খাঁচার সামনে বসবে ব্রেইলে অ্যানিম্যাল বোর্ড। যাতে দৃষ্টিহীনদের পশুপাখিদের প্রাথমিক পরিচয় বুঝতে অসুবিধে না হয়। এর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

শুধু এখানে আয়োজন নয়, কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের পেইন্টিং বিভাগে রয়েছে এরকম ব্রেইল বোর্ড শুধুমাত্র দৃষ্টিহীনদের জন্য। ১৪৮ বছর পুরোনো এই চিড়িয়াখানা ভারতের প্রথম চিড়িয়াখানা। ১৩ বছর বয়সী চন্দ্রীমা ঘোষ লুই ব্রেইলের ছাত্রী। বলে, ‘ব্রেইল বোর্ড থাকলে বেশ সুবিধা হত। নামগুলো পরতে পারতাম। অন্যের মুখে শোনার থেকে নিজে বোঝা অনেক ভালো।’

জু ডিরেক্টরের কথায়, ‘আমরা ব্রেইল বোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করছি। দৃষ্টিহীনদের জন্য এই বোর্ড কাজে দেবে।’




Leave a Reply

Back to top button