দুবেলার অন্ন জোগাড়ে হিমশিম খেয়েও গান গেয়ে মন কাড়ছেন আসিম
আর্থিক কষ্টকে নিত্য সঙ্গী করে গানের চর্চা করে যাচ্ছেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুটভুটি চালক আসিম আলি। তবে তাঁকে সালমান আলি বলেই এলাকার মানুষ বেশি চেনেন।

চোখ বন্ধ করলে বোঝাই যাবে না গানটা কে গাইছে? মিউজিকের তালে কোনও দামি মাইক ছাড়াই কুমার শানুর কণ্ঠে হুবহু গান গেয়ে মুগ্ধ করে তুলছেন নেটপাড়াকে। সেই ভিডিও কার্যত ভাইরাল নেটপাড়ায়। পেশায় ভুটভুটি চালক সেই ‘গায়ক’ কিন্তু একেবারেই অপ্রশিক্ষিত। গানের তালিম নেননি কখনও। একেবারেই ‘র’ ট্যালেন্ট’ ভরে রয়েছে।
আর্থিক কষ্টকে নিত্য সঙ্গী করে গানের চর্চা করে যাচ্ছেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুটভুটি চালক আসিম আলি। তবে তাঁকে সালমান আলি বলেই এলাকার মানুষ বেশি চেনেন। আসিমের কথায়, ‘আমি কোনওদিন গান গাওয়া শিখিনি। ছোটবেলা বাবাকে দেখতাম হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতেন। তখন থেকেই নিজে নিজে গুন গুন করে গান গাওয়া শিখতাম। তারপর আমার গলার গান শুনে আশেপাশের অনেকেই মুগ্ধ হয়। তখন থেকে গায়ক হওয়ার ইচ্ছে।’
ভুটভুটি চালিয়ে কোনওরকমে সংসার চালান আসিমবাবু। দুবেলার ভাত জোগাড় করেন। তবে শত কষ্ট হলেও মনে তুখোড় জেদ গান নিয়ে। প্রথাগত কোনও তালিম না পেলেও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গান গেয়ে মানুষের মন জয় করে চলেছেন। আসিমের বক্তব্য, ‘এখন বিভিন্ন জায়গায় আমি গান করি। কুমার শানু , কিশোর কুমার সহ একাধিক গায়কের গান গাইতে পারি। আমার ভালো লাগে তাই গান করি।’
জানা গিয়েছে, অসীমবাবুর পরিবারে রয়েছে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে এবং স্ত্রী সহ মোট পাঁচজন। টালির ছাউনি দেওয়া ভাঙাচোরা বাড়িতে থেকে কোনওরকমভাবে গানকে টিকিয়ে রেখেছেন।গানের প্রতিভা থাকায় তিনি এগিয়ে চলেছেন আপন মনে। তবে সোশ্যাল মাধ্যমের দৌলতে এখন তিনি অনেকটাই পরিচিত তাঁর এলাকায়। একমাত্র তাঁর গানের জন্য। তাঁর প্রতিভার জন্য এবং মনের জোরের জন্য।