Tripura – আগরতলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিপ্লব, পুরভোটের আগেই রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে
শনিবার আগরতলার(Agartala) বনমালীপুরের একটি নাগরিক নির্বাচনের সমাবেশে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব(Biplab Kumar Deb)। তিনি দাবী করেন, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি এসেছে তৃণমূলের হাত ধরে। খুন, মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর, টিএমসিকে পছন্দ করেন না এমন লোকেদের প্রকাশ্যে হুমকি আজ পশ্চিমবঙ্গের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা(Regular Routine)।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দাবী করেন, প্রথম দিন থেকেই তৃণমূল রাজ্যের সুনাম(Goodwill) ও ঐতিহ্যকে(Culture) ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, ২৫ বছর ধরে কমিউনিস্টদের(Communists) একটানা অরাজকতার শাসনের কারণে ত্রিপুরা সর্বদা শিরোনামে(Headline) ছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরার উন্নয়নের খাতে বহু প্রজেক্ট চালু করেছেন।
আরও পড়ুন- উত্তপ্ত ত্রিপুরা, নালিশ শুনতে নারাজ শাহ, বাতিল বৈঠক
তিনি স্পষ্ট বলেন, “টিএমসি(TMC) বাংলা থেকে লোক এনে ত্রিপুরায় হিংসা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এটি ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার এবং মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় জনগণের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে। ত্রিপুরার লোকেরা এটি পছন্দ করে না এবং এটি নাগরিক নির্বাচনের সময় ইভিএমগুলিতে প্রতিফলিত হবে। বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ এবং পরিবার-চালিত রাজনীতি চলছে এবং তারা এটিকে ত্রিপুরাতেও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং এখানে তাদের কার্যক্রমের এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার লোকেরা তাদের চান না।”
গত সাড়ে তিন বছরে তিনি বিজেপি সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, “দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন এসইজেড (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) দক্ষিণ ত্রিপুরায় বহিরাগত বিনিয়োগ আনার জন্য স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া খুব শীঘ্রই খুলবে। কৃষকরা প্রতি বছর ৬০০০ টাকা সরাসরি নগদ সুবিধা পাচ্ছেন। এফসিআই(FCI) কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে ধান সংগ্রহ করছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পকে আকর্ষণ করার জন্য একটি বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।”