Pakisthan – হিন্দু নির্যাতন ক্রমেই বাড়ছে পাকিস্তানে, গুরুপুরবে যৌন নিগ্রহের পর হত্যা শিশুকে
অহেলিকা দও, কলকাতা: গুরুনানকের(Guru Nanak) জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান। চারিদিক থেকে জড়ো হয়েছেন প্রচুর মানুষ। এলাকার বাসিন্দারা মেতে উঠেছেন আনন্দে। এই সময়ই হঠাত খোজ পড়ল অখিলের (নাম পরিবর্তিত)। ১১ বছরের ছোট্ট ছেলে (Boy) অখিল। সকলেই ভাবল কোথায় আর যাবে, এখানেই আছে হয়ত। কিন্তু অনেক খোঁজার পরও পাওয়া গেল না তাকে। অবশেষে শনিবার সকালে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে পাওয়া গেল ওই ১১ বছরের ছোট্ট ছেলের ঝুলন্ত দেহ (dead body)।
২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কিছু অপরাধের হার কমলেও নারী এবং শিশুদের উপর নির্যাতন কমার কোনো লক্ষণই নেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতবর্ষে ছয় দশমিক চার শতাংশ হার বেড়েছে হত্যা কান্ডের। গত শনিবার ছিল শিশু দিবস। আর এই শিশু দিবসের ঠিক পরপরই ভয়াবহ পরিনত হল ১১ বছরের এক হিন্দু কিশোরের। পাকিস্তানে (Pakistan) আবারও নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর আতঙ্কিত গোটা সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দারা।
শুক্রবার গুরুনানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে খিরপুরের বাবরলোই এলাকার বাসিন্দারা মেতে উঠেছিল। ঠিক সেই সময় নিখোঁজ হয় ওই ১১ বছরের ছেলেটি। অনেক খোঁজার পরও খোঁজ মেলেনি তার। অবশেষে অনেক খোঁজ খবর করার পর শনিবার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেছেন, ‘সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল, এবং ২০১১ সালে তার জন্ম হয়েছিল।’
খিরপুরের বাবরলোই থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) জানান, শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ইতিমধ্যে দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে। তবে অপরাধীদের নাম ও পরিচয় পুলিশ সূত্রে জানা যায় নি। সুক্কুরের শিশু সুরক্ষা সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরটির দেহে অত্যাচারে একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
পাকিস্তানে অল্পসংখ্যকদের উপর অত্যাচার হতেই থাকে, কখনও তাদের ঘর জ্বালানো হয়, কখনও আবার মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হয়। এমনকি বাদ পড়েনি শিশুরাও। স্থানীয় এক এলাকাবাসী বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে প্রদেশে এই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা এটা, কয়েকদিন আগেই, সুক্কুর জেলার সালেহ পাটের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। পুলিশ তার পুনরুদ্ধারের জন্য ২.৫ মিলিয়ন অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করেন। কিন্তু তার পরেও তার হদিশ মেলেনি।’ এই একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের খিরপুরের বাবরলোই এলাকার বাসিন্দারা।