Unmukt Chand – দীর্ঘদিনের প্রেমকে স্বীকৃতি, বিয়ে করলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী উন্মুক্ত চাঁদ
রাখী পোদ্দার, কলকাতা : সম্প্রতি বিবাহ (marraige) বন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রাক্তন ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (World Cup) জয়ী অধিনায়ক (captain) উনমুক্ত চাঁদ (Unmukt Chand) । রবিবার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা তথা দিল্লির ফিটনেস প্রশিক্ষক (fitness trainer) সিমরন খোসলার (Simran Khosla) সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন ২৮ বছর বয়সী চাঁদ। তিনি তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেহেন সেই ছবি। ক্যাপশনে লিখেছেন, “ আজ, আমরা চিরতরের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি! ২১/১১/২১ #সিমরান টু চাঁদ @খোসলা সিমরান।” সঙ্গে পোস্ট (post) করেছেন তাঁদের শুভ বিবাহের সুন্দর কিছু মুহূর্তের ছবি।
‘উনমুক্ত চাঁদ’ এই বছরের শুরুর দিকেই ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। অবসর নেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন “বিশ্বজুড়ে আরও ভাল সুযোগ আছে”। তিনি টুইটারে আরও যোগ করেন, “আমি সত্যিই জানি না আমার কী করা উচিত? আমি এখনও আমার জীবনের মানে খুঁজছি। দেশের প্রতিনিধিত্ব না পারাই আক্ষরিক অর্থে কিছুক্ষণের জন্য আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। ব্যক্তিগতভাবে, ভারতে আমার ক্রিকেট যাত্রায় এই দেশের সাথে বেশ কিছু গৌরবময় মুহূর্ত আছে। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। একজন অধিনায়ক হিসেবে কাপটি হাতে তুলে নেওয়া এবং সারা বিশ্বের অনেক ভারতীয়দের মুখে হাসি ফোটানো ছিল এক বিশেষ অনুভূতি। আমি সেই অনুভূতি কখনই ভুলতে পারি না,”।
Today, we decided on forever!
21.11.21 💕💍#SimRANtoChand@KhoslaSimran pic.twitter.com/enG4qCCeAi— Unmukt Chand (@UnmuktChand9) November 21, 2021
২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, টুর্নামেন্টের ফাইনালে ১১১ রান স্কোর করার পরে লাইমলাইটে আসেন তিনি। চাঁদ ২০১৫ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়কত্বও করেছিলেন। উচ্চ স্তরে সাফল্যের জন্য চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও, চাঁদ কখনোই আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেননি, তবে তিনি তিনটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ ছিলেন – দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস), মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের। সম্প্রতি, উনমুক্ত চাঁদ বিগ ব্যাশ লীগে (বিবিএল) প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে যোগদান করেন।
প্রসঙ্গত, উম্নুক্ত বিয়ে আদৌ বিয়ে করছেন কি না তা নিয়ে গুজব চলছিল। তবে নিজেই অফিসিয়াল টুইটার থেকেই ছবি শেয়ার করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে সত্যিই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান রাজকীয় ভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল, যদিও উপস্থিত অতিথিদের সংখ্যাটা ছিল কমের দিকেই। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নিকট আত্মীয় ও বিশেষ কিছু বন্ধু বান্ধবদের নিয়েই সম্পন্ন হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।