Bride Exam – আগে পরীক্ষা পরে বিয়ে, গুজরাটে কনের সাজে পরীক্ষাহলে জাহির ছাত্রী
সম্প্রতি গুজরাটের (Gujrat) এক কনের (Bride) বিবাহের পোশাক পরে বিয়ের দিনে পরীক্ষা দিতে আসার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বহুল মাত্রায় ভাইরাল (Viral) হয়েছে। বিয়ের পোশাক পরে, গাঁটছড়া বাঁধার(Tie the knot) আগে তিনি পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা হলে (Examination Centre) এসে পৌঁছান। কনের এই ভাইরাল ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত (Inspiring) হয়েছে অনেকেই।
ইনস্টাগ্রামের (Instagram) ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, রাজকোটের (Rajkot) এক নববধূ (New Bride) একটি লাল লেহেঙ্গা এবং ভারী গয়না পরিধান করে শান্তভাবে একটি বেঞ্চের ডেস্কে বসে পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর লিখতে ব্যস্ত। ভিডিওটির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করা হচ্ছে যে, কীভাবে ২০২১ সালেও অনেক অল্পবয়সী মেয়েকে নিজের উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন ছেড়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।
View this post on Instagram
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, শিবাঙ্গী বাগথারিয়া নামের এই কনে শান্তিনিকেতন কলেজের (Shantiniketan) ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক (Bachelor of Social Work) এর পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী। জানা যায়, ঐদিন ঐ ছাত্রী তার হবু স্বামীর সাথেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন। ঐ ছাত্রীর হবু স্বামীকেও সেদিন বিয়ের পোশাক পরেই দেখা গেছিল। পরে এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নববধূ বলে যে পরীক্ষার সময়সূচী(Scheduled) ঘোষণার আগেই তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে গেছিল এবং দুঃখজনকভাবে এটি একই দিনে পড়ে। তবে বর ও কনের উভয় পরিবারই সম্মত হয়েছিল যে পরীক্ষা দেওয়াটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। নববধূ আরও বলেন, লগ্ন ও পরীক্ষার সময়গুলিতেও এমন সামঞ্জস্যতাই (Adjustable) ছিল যাতে সে প্রথমে পরীক্ষা দিতে পারে এবং তারপর বিবাহের নিয়ম সম্পন্ন করতে পারে।
রাজকোটের এই ঘটনায় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ঐ ছাত্রী এবং উভয় পরিবারগুলির প্রশংসা করেছে নেটদুনিয়া। অনেক নেটিজেনের মতে, এটি একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে এবং অনুরূপ পরিস্থিতিতে অন্যান্য পরিবারকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী (Social Media Users) এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে (Comment Box) মন্তব্য করে লেখেন, “শিক্ষার শিকড় তেতো, কিন্তু ফল মিষ্টি।” অন্য আর একজন নেটিজেনের (Netigens) বক্তব্য, “দেখে ভালো লাগছে যে মেয়েটির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার তাকে তার পড়াশোনায় উৎসাহিত (Encourage) করছে।”