KMC: খন্ডন হল “এক ব্যাক্তি এক পদ” নীতি, মালাকে টপকে মেয়র দৌড়ে বিজয়ী ববি

আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার(Kolkata) মেয়র(Mayor) নিয়ে চূড়ান্ত সিধান্ত ঘোষণার পালা। আর সময় মতোই সেই কাজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মহারাষ্ট্র(Maharastra) নিবাস থেকে কলকাতার(Kolkata) নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করলেন তিনি। পুরভোটে(Municipal Poll) সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জয় লাভ করার পরই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছিল এক নয়া জল্পনার। কার মাথায় উঠতে চলেছে কলকাতার আগামী মেয়রের মুকুট?-জল্পনাকে ঘিরে নাম আসছিল একাধিক। আর এই নামের তালিকার শীর্ষে ছিল দুটি ব্যাক্তি মালা রায়(Mala Roy) ও ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)।
তবে এবার জল্পনার আগুনে জল ঢেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ঘোষণা করে দিলেন ফিরহাদ হাকিমের নাম। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কলকাতার(Kolkata) মহানাগরিকের(Mayor) সিংহাসনে ফের উঠে বসে পড়লেন তিনি। আপাতত শহর ও শহরবাসীর ভবিষ্যৎ(Future) আগের মতোই তাঁরই হাতে। পাশপাশি, পুরসভার চেয়ারম্যান(Chairman) পদ পেলেন মালা রায়। এদিন শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী সকল ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানান। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী নতুন চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করেন। কলকাতার নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে মালা রায়ের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার দলনেতা হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম প্রস্তাব করে সুব্রত বক্সী। দুই প্রস্তাবেই উঠে আসে সমর্থনের হাত।
ডেপুটি মেয়র হলেন অতীন ঘোষ। মেয়র পরিষদের সদস্য পদের নিযুক্ত হলেন ১৩ জন। যথারীতি, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, বাবু বক্সী, আমিরুদ্দিন ববি, সন্দীপন সাহা, জীবন সাহা, রাম পিয়ারী রাম, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, তারক সিং, মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দারের। একইসঙ্গে, ১৬টি বরোর চেয়ারম্যানের নাম এদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১ নম্বর বরো কমিটির দায়িত্বে তরুণ সাহা, ২ বরো সামলাবেন শুক্লা ভোঁড়, ৩ বরো অনিন্দ্যকিশোর রাউত, ৪ বরোয় সাধনা বোস, ৫ বরো রেহানা খাতুন, ৬ বরো সানা আহমেদ, ৭ বরো সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮ বরো চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, ৯ বরো দেবলীনা, ১০ বরো জুঁই বিশ্বাস, ১১ বরো তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ বরো সুশান্ত ঘোষ, ১৩ রত্না শূর, ১৪ বরো সংহিতা দাস, ১৫ বরো রঞ্জিত শীল, ১৬ বরো সুদীপ পোলে।
আরও পড়ুন…….KMC Result: ঘাসফুল ঝরে ফের মাতল তিলোত্তমা, তুরুপের তাস কি তাহলে নির্দল প্রার্থীরাই
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগেই তৃণমূল নিজের সাংগঠনিক বিভাগে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। জারি হয় “এক ব্যাক্তি এক পদ” নিয়ম। এই নীতির অনুসরণ করে চারমন্ত্রীকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমানে আদেও কি সেই নিয়ম কোনও দিক থেকে পালিত হচ্ছে? কিছুদিন আগেই জল্পনা উঠেছিল মেয়র পদ নিয়ে। তৃণমূলের অন্দরে ফিসফাস হচ্ছিল যে, হয়তো “এক ব্যাক্তি এক পদ” নীতিকে মান্য করে মালা রায়-কে মেয়র পদে বসাতে চলেছে দল। বর্তমানে, ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। এই পরিস্থিতি তাঁর ফের মেয়র পদ দখল প্রশ্ন তুলছে তৃণমূলের নীতির দিকে। তাহলে কি নিজেদের নীতিকে নিজেরাই মান্য করতে চায় তৃণমূল?
কলকাতার মহানাগরিক পদে বসে ফিরহাদ হাকিম বলেন, জীবন যদি যায় যাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসকে ভঙ্গ করতে দেব না। তাঁর আদর্শ, বিশ্বাস নিয়েই এতদিন পুরবোর্ড চলেছে। এরপরও চলবে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথ হেঁটে আমরা শুধু কাজ করে যাব। আমৃত্যু ওনার বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে উনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করব।”