Mithai: ভেস্তে গেল কর্পোরেট পার্টি! পরিবারকে নিয়ে ঘরে-বাইরে বিপদ কীভাবে সামলাবে মিঠাই?

মিঠাই’ ( Mithai ) বাংলা ধারাবাহিকের ধারায় জোয়ার এনেছে। একান্নবর্তী পরিবারের সেই যৌথ ছবিটা একই ভাবে টিভি পর্দায় ধরে রেখেছে মিঠাই ধারাবাহিক।চারিদিকে যখন ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’র ধারা অবিচ্ছিন্ন গতিতে বইছে,মিঠাই সেখানে একেবারেই ব্যতিক্রমী। মিঠাই পরিবারকে একেবারে ছাতার নীচে রেখেছেন সিদ্ধেশ্বর মোদক অর্থাৎ দাদাই। তিনি পরিবার ও ব্যবসায় প্রধান মুখ। তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা পড়েছে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এদিকে সিরিয়ালের অভ্যন্তরেও চলছে ব্যবসায়িক গলযোগ।
পরিবারকেই সামনে রেখে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে মনোহরা পরিবার। এদিকে প্রমিলা লাহার চক্রান্তে মুখ পড়েছে মোদক পরিবারের ।
মিষ্টির অর্ডার হচ্ছে হাতছাড়া। ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতি মাত্রাধিক। আর সেখানেই এবারে তাদের আবার ও মূল থিম পরিবার। এবার বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসে মিষ্টির কোন অর্ডার তারা পায়নি। দুর্নীতির তকমা এঁটে গিয়েছে মোদক পরিবারের গায়ে। ধস নেমেছে ব্যবসায়। তাই ব্যবসা সামাল দিতে পারিবারিক গানের শ্যুটিং থেকে কর্পোরেটদের নিয়ে সম্মিলনী উৎসব সবের আয়োজন করেছে মোদক পরিবার। কিন্তু সেখানেও ধাওয়া করেছে বিপদ। স্যান্ডি তার বন্ধুকে দিয়ে গাড়ি বুক করে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেও, সে গাড়ি চক্রান্ত করে আটকে দেয় প্রমিলা লাহার লোকেরা। তীরে এসে তরি ডোবার আশঙ্কায় মন ভাঙে মোদক পরিবারের। সিদ্ধার্থ দুশ্চিন্তা করতে থাকে।
এসময় মিঠাই প্রতিবারের মতো সকলের মনোবল জোগানোর চেষ্টা করে। সে বলে, পুজোর দিনে পরিবারের কতো রকম গোলযোগ হয়, সকলে তো সেগুলো মানিয়ে নেন। কর্পোরেট কর্তারাও তাই করবেন। সঙ্গে তাল মেলায় নন্দা, শ্রীনীপারা। তারাও বলে, পুজোর দিনে কখনও মাংস সিদ্ধ হয় না, তো কখনও পাত পেড়ে খাওয়া হয় না। পরিবারের লোকেরা কি তাতে কিছু মনে করে? তবে বাস্তববাদী তোর্সা অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার কথা বলে কারণ কর্পোরেটে বেনিয়ম চলে না।
সকলকে চমকে দিয়ে গাড়ির ব্যবস্থা করে প্রত্যেককে নিয়ে আসে বাড়ির ছেলে, জামাইরা। দেরী হলেও রাজীব, রাতুলদের অনুরোধে তারা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসে। এসময় সিদ্ধেশ্বর মোদক সবাইকে পরিবারের লোক বলে আপন করে নেয়। সিড ও মিঠাই একত্রে বলে, যে এগুলোর কোনটাই ব্যবসায়িক স্বার্থে তারা করছে না, তাদের এই পার্টির আয়োজন শুধুমাত্র পারিবারিক সংযোগ এবং বিশ্বাস অর্জনের উদ্দেশ্যে। অভিনব মিষ্টি খাইয়ে মুগ্ধ করে সকলকে। মিঠাইয়ের হাতে বানানো পাটিসাপটা খেয়ে বাহবা দিতে থাকেন পিসিজির কর্মকর্তারা। পিসিজির সঙ্গে পুজোর পর সমস্ত কন্ট্রাক্ট পায় তারা। এরপর আদবানি গ্রুপও চুক্তি করে। অত্যন্ত লাভবান হন সিদ্ধেশ্বর মোদক গ্রুপ। তাদের পরিকল্পনা সার্থক হয়।
তবে শুধু গল্পের ব্যবসায়িক দশা দেখলে তো হবে না। চলতি সপ্তাহে শীর্ষ স্থান থেকে বহু দূরে সরে গেছে ‘মিঠাই’। পঞ্চম বা ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এককালের সেরা ধারাবাহিক। গল্পের একঘেয়েমির কারণে এই দুর্দশা। শোনা গিয়েছিল, পুজোর পর শেষ হতে চলেছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক। তবে ধারাবাহিক শেষ না হলেও, জনপ্রিয়তা কি শেষের মুখে? সিরিয়ালের অভ্যন্তরীণ দুর্যোগ যেভাবে সামাল দিচ্ছে মিঠাই পরিবার সেভাবে কি মিঠাইয়ের খ্যাতিকেও ধরে রাখতে পারবে তারা? কি মনে হয় আপনাদের?