মরণোত্তর পুরস্কার পেলেন হার না মানা ঐন্দ্রিলা, গর্বের মুহূর্ত বলে জানালেন সব্যসাচী
ঐন্দ্রিলার মরণোত্তর পুরস্কারে গর্বিত সবাই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা-মা। তাঁর হয়ে পুরস্কার নেন সব্যসাচী।

শুভঙ্কর, কলকাতা: সাধারণ মানুষ হোক বা অভিনেতা অভিনেত্রী সকলেরই একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে। সকলেরই একটা চাওয়া-পাওয়া থাকে। সবারই একটা ইচ্ছা থাকে। কিন্তু সেই ইচ্ছা অনেক সময় পূর্ণ হয় না। কোন মানুষের ইচ্ছা বা চাওয়া পাওয়া পূর্ণ না হলে তার মনের ভিতর কি ঝড় ওঠে সেটা হয়তো সেই বলতে পারে। আজ আমরা এমনই একজনেরকে নিয়ে কথা বলব। গত বছরে এজগতের মায়া ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি হলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।এই দুজনের ভালোবাসা চাওয়া-পাওয়া ছিল অটুট। কিন্তু ওই যে ভাগ্যের পরিহাস, আর সেই জন্যই মাঝপথে তাদের যাত্রা থেমে যায়। গত বছর ২০ নভেম্বর ঐন্দ্রিলা মারা যান। তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে মারণ রোগ ক্যান্সার। দুইবার সেই রোগ থেকে ফিরে আসলেও তৃতীয় বারের বেলায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।তিনি অভিনয় জগতে বেশ চেনা মুখই ছিলেন।
অভিনেত্রী মারা গেছেন এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। কিন্তু এই এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি সম্মানিত হলেন। বৃহস্পতিবার তিনি মরণোত্তর বিশেষ কৃতি সম্মান পুরস্কারে পুরস্কৃত হলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেদিন এই পুরস্কার তিনি ছাড়াও আরো ৬৬ জন পেয়েছেন। এই সব শিল্পীদের বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর স্বীকৃতি। ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা, জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা সবকিছুই একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কারণ তিনি আজ আমাদের মধ্যে না থাকলেও কোথাও যেন একটা লুকিয়ে আছেন ঠিকই।
আজও ঐন্দ্রিলার পাশে আছেন সব্যসাচী। আর সেই জন্যই বৃহস্পতিবার যখন ঐন্দ্রিলা মরণোত্তর পুরস্কার পান সে সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ ঐন্দ্রিলা বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে আজও জায়গা করে রেখেছে। বয়সটা খুবই কম। ২৫ বছর হওয়ার আগেই ও আমাদের ছেড়ে চলে গেল। তাই ও যখন এই পুরস্কারের সম্মানিত হচ্ছে তখন ওর বাবা-মা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনই গর্বিতও হচ্ছেন”।