মাথামুন্ডু নেই সিরিয়ালের! দু’দিনেই উর্মিকে কোমা থেকে সুস্থ করে নেটপাড়ায় ঠাট্টার শিকার টুকাইবাবু

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: সারা দিনের সব কাজ সেরে সন্ধ্যা নামলেই বাড়ির মা মাসিরা কান্তি দূর করতে বসে পড়েন টেলিভিশনের সামনে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে একের পর এক তাঁদের পছন্দের ধারাবাহিক ( Bangali serial )। তবে এই বাংলা ধারাবাহিক গুলিতে একেক সময় এমন জিনিস দেখানো হয় যেগুলি দেখে দর্শকরা হাসবেন নাকি কাঁদবেন তা বুঝতে পারেননা। বিভিন্ন ধারাবাহিকে তাঁদের আচমকা কান্ড দেখে ঠাট্টার বিষয় হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে।

এরূপ হাস্যকর বিষয়তো ধারাবাহিক গুলিতে মাঝে মাঝেই দেখা যায়। তবে কে আপন কে পর ধারাবাহিকের নায়িকা জবা কাঁচি দিয়ে ডিফিউজ করেছিল আস্ত একটা বম্ব, আবার কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে স্ক্রচবাইট দিয়ে সারানো হয়েছিল হৃদরোগ। এবার বাংলার আর এক জনপ্রিয় ‘এ এই পথ যদি না শেষ হয়’ ( Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy ) ধারাবাহিকে যা দেখানো হলো তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে হাসির রোল।

img 20220615 211851

জামাই ষষ্ঠীতে গিয়ে মামণির বদমাইশিতে বিষ মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরে উর্মি‌। পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যার ফলে কোমায় চলে যায় উর্মি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, কোমা থেকে হঠাৎ সুস্থ হয়ে সরকার বাড়িতে ফিরেছে উর্মি ( Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy )। তার ফিরে আসা উপলক্ষ্যে সাজানো হয়েছে গোটা সরকার বাড়ি, সাত্যকি নিজের হাতে যত্ন করে সাজিয়েছে দাদের ঘর।

img 20220615 211027

তবে তার এই ফিরে আসার ছবি দেখেই তীব্র সমালোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিরিয়াল ( Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy ) প্রেমিদের মনেও চলছে নানা রকম প্রশ্ন। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে একেক জন একেক রকম মন্তব্য করছে। কেউ কেউ লিখেছেন যে যাহ্, মরলো না। একজন লিখেছেন যে দু দিনেই কোমা থেকে উঠে আসলো এদিকে আমার ক্রাশ ঘুম থেকেই ওঠে না। একজনের আবার বক্তব্য, ডাক্তারবাবু বললেন এই কোমা থেকে ফেরা প্রায় অসম্ভব কিন্ত উর্মি দুদিনেই জেগে উঠে হেঁটে হেঁটে বাড়ি চলে এল,একটা স্ট্রেচারও লাগল না।

img 20220615 211758

বলতে গেলে সব শেষে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আবারও একবার হাসির খোরাক হলো বাংলা ধারাবাহিক। ব্যাপারটা সত্যিই বড্ড অবাস্তব। এমনিতে ধারাবাকিকে একটি একান্নবর্তী পরিবারের মিলেমিশে থাকার গল্প বলে ( Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy )। এমনকি প্রচুর শিক্ষামূলক জিনিস দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকে। কিন্তু দুদিনে কোমা থেকে উঠে হেঁটে হেঁটে বাড়ি চলে আসাটা বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।




Leave a Reply

Back to top button