বিচ্ছেদের পরও নেই শান্তি! সাইফের মাথায় ফ্রাইয়িং প্যান ভেঙে বদলা নিল প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ঘটনা নতুন নয়। মাঝে মাঝেই দেখা গেছে বিয়ের বেশ কয়েক বছর কেটে যাওরার পরব খুব অল্প কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যেতে। এইরকম এক ঘটনা ঘটেছিল বলিউডের দু’জন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী সাথে। ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল একসাথে সংসার করেছেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা সইফ আলি খান এবং অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের ( saif ali khan amrita singh )। তবে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন একেবারেই সুখকর ছিল না তাঁদের।
সইফ এবং অমৃতার দাম্পত্যকলহের কিছু উদাহরণ নিজেই দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর আগে তখনও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেনি তাঁদের। সেই সময় তৎকালীন দম্পতি ( saif ali khan amrita singh ) এক বার অভিনেত্রী সিমি গরেওয়ালের চ্যাট শো-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই শো-তে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, সইফ অন্যান্য নায়িকাদের সঙ্গে অভিনয় করতেন বলে কি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অমৃতা?
সেই প্রশ্নের উত্তরে অকপটে জবাব দেন সইফের প্রাক্তন স্ত্রী, “যদি বলি না, তা হলে মিথ্যে বলা হবে। মহিলারা যে ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আমিও ভুগি। এমনকি সে নিয়ে আমাদের মধ্যে অশান্তিও হয়। আমি চিৎকার করি, কান্নাকাটি করি। কখনও কখনও মনে হয়, সইফের মাথায় ফ্রাইয়িং প্যান ভাঙি।” সেই কথা শুনে সইফ ( saif ali khan amrita singh ) তৎক্ষণাৎ বলেন, “আমার মাথা ফাটিয়েছে ও।” তবে এ কথাটি তখন সইফ রসিকতা করেছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এরপর অমৃতা আরও জানান, যে তিনি নিজের মত থাকতে পছন্দ করেন। যার জন্য কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগে দু’বার ভাবে। সইফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরেই নাকি অনেক শান্ত এবং নমনীয় হয়েছেন অমৃতা ( saif ali khan amrita singh )। অত্যন্ত তিক্ততার সঙ্গে বিভছেদ হয় দু’জনের। প্রকাশ্যে বিবাদও ঘটে তাঁদের। তার পরেই বেশ কয়েক বছর প্রেম করে অবশেষে ২০১২ সালে করিনা কপূরকে বিয়ে করেন সইফ। এখন তাঁদের দু’টি পুত্রসন্তান হয়েছে। তৈমুর আলি খান এবং জাহাঙ্গির আলি খান।
তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের কন্যা সারা আলি খান বলেন, “খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মা বাবা ( saif ali khan amrita singh )। কারণ তাঁরা একসঙ্গে সুখী ছিলেন না।” সইফ এবং অমৃতার দুই সন্তান। সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান। তাঁরা দুজনেই বর্তমানে তাঁদের মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করেন।