Badhaai Do : পশুপাখি নয়, কেবলমাত্র মানুষই সমলিঙ্গের প্রেমে পড়ে’- সমকামিতাকে চিত্রায়ন নাকি ভন্ডামি

Badhaai Do – ‘কতই সহজ বলতে পারা, ক্ষনিকের এই জানা শোনা, প্রেমে পরা; মুছে ফেল সেই সব রঙ যা তোমার কবিতার পাতায় আঁকা’- ভালবাসা মানুষের হয়, তাই একজন মানুষ অন্যজন মানুষকে ভালবাসেন; তাতে থাকে না কোন রং-চাল-চরিত্র-হাটা-চলা-যৌনতা এমনকি লিঙ্গ। আর এর উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে হর্শবর্ধন পরিচালিত রাজকুমার রাও এবং ভূমি পেডনেকার অভিনিত ‘বাধাই দো’ ( Badhaai Do)।
Badhaai Do – স্টোরিলাইনই বাধাইলেস
ছবির ( Badhaai Do) দুই প্রধান চরিত্র সমকামী। পুলিশ অফিসার শার্দুল ওরফে রাজকুমার রাও সমকামি। অন্য়দিকে স্কুলের পিটি টিচার সুমন ওরফে ভূমি পেডনেকারও রিমঝিম নামের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বান্ধবীর সঙ্গে সমপ্রেমের সম্পর্কে জড়িত। অথচ দুজনের বাড়ির লোকেরা তাদের বিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে আকস্মিকভাবে শার্দুল এবং সুমনের বন্ধুত্ব হয়। পরিবারের এই বিয়ের চাপ থেকে বাঁচতে দুজনেই সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের যৌন পছন্দকে লুকিয়ে বিয়ে করার। এতে সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। কিন্তু তেমনটা ঠিক হল না। বিয়ে হতেই, দুই পরিবারের লোকজনের দাবী একটাই, সন্তান চায়! ব্যস, ঝামেলা শুরু!
বিয়ের একবছর পরেও সন্তান না হওয়ায় শুরু হয়ে যায় দুজনের নানা মেডিক্যাল পরীক্ষা আর পারিবারিক টানাপড়েন। এসব ঘটানো হয় নিছক হাসি মজার মোড়কে। বাড়ির লোকের কাছে যখন শার্দুল ও সুমনের পছন্দের ব্যাপারটা পরিষ্কার হতেই চিত্রনাট্য কিঞ্চিৎ গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করে বটে, কিন্তু চিত্রায়নে সেটার ছাপ বেশ কম। সেখানেও শুধুই কমেডি।
Badhaai Do – সমকামিতার কমেডি ইমপ্যাক্ট
কিন্তু কমেডির উপর টিকে থাকলেও ছবির বার্তা পরিষ্কার, সমাজ সচেতনতা। সমাজের এই দোড়গোড়ায় আইনত মান্যতা নেই এমন অনেক কাজ কলার উচিয়ে করা যায়, কিন্তু আইনত মান্যতা থাকা সত্বেও সমাজে সমকামিতার কোন মান্যতা নেই। তাই নাক না শিটকিয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের এই সিনেমা দেখা উচিত। শুধু শিল্পের পরিসর থেকে নয়, সামাজিক-মানসিক উন্নতির জন্য।
আরও পড়ুন…..সাতসকালে দুর্ঘটনা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই বাস
আরও পড়ুন….Black day : প্রেম দিবসে মর্মান্তিক ঘটনা! জেনে নিন পুলওয়ামা হামলার মর্মান্তিক মুহুর্ত
পরিচালক সমকাম নিয়ে এমন মজা করে ছবি বানালেন কেন? সেটা একেবারে স্পষ্ট নয়। ছবি দেখে হর্ষবর্ধনকে তাই কোনও ভাবেই “বাধাই” দেওয়া যাবে না। তবে বাহবা দিতে হবে রাজকুমার (Rajkumar Rao) ও ভূমিকে (Bhumi Pednekar)। তাঁদের অভিনয় অসামান্য। রিমঝিমের চরিত্রে চারু দারাং তেমন স্বাভাবিক নন, বরং রাজকুমারের সঙ্গীর চরিত্রে নরেশ পান্ডে অনেকটাই সাবলীল। এই ছবির তিনজন সুরকার আর রয়েছে তিনটি গান। কিন্তু কোনওটাই মনে ছাপ রাখেনা। ছবির বিষয় ভাবনায় নতুনত্ব ছিল ঠিকই, কিন্তু “বাধাই” পাওয়ার মত চিত্রায়ন হল না ‘বাধাই দো’!