৪ বাচ্চার বাবা, দুই বিয়ে সইফের! তবু এই কারণে আর সংসার পাতেননি নবাবের প্রথম পত্নী অমৃতা

অহেলিকা দও, কলকাতা : নব্বইয়ের দশকে নবাবপুত্র সইফ আলি খানের ( Saif Ali Khan ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অমৃতা সিং ( Amrita Singh )। এক সময় এই জুটিকে নিয়ে চর্চা চলতো বলিউডে ( Bollywood News )। অমৃতা সিং সেইসময় জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন। মাত্র ২০ বছরে বয়সে অমৃতার সঙ্গে সংসার পেতে ২ সন্তানের জন্ম দিয়েও বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ এনেছিলেন সইফ আলি খান। বর্তমানে চার সন্তানের বাবা সইফ আলি খান। তবে অভিনেতার সঙ্গে যখন অমৃতা সিং-এর প্রথম আলাপ হয় তখন সাইফ আলি খান বলিউডে ডেবিউ করেনি। সইফ আলি খান দ্বিতীয় বিয়ে করলেও ( Bollywood News ) অমৃতা সিং কেন দ্বিতীয় বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারেননি?

১৯৯৯ সালে এই দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ( Bollywood News )। সেইসময় জনপ্রিয় জুটি ছিলেন তারা। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছেন সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান। তবে সাইফ আলি খান ২০০৪ সালে অমৃতা সিংকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। বিয়ের সময় সইফ আলি খানের বয়স ছিল ২০ এবং অমৃতা সিং-এর বয়স ছিল ৩২। প্রেম থেকে বিবাহের সম্পর্কে এত ছোট বয়সে বোধহয় সইফই প্রথম পা দিয়েছিলেন। শোনা যায়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের সম্পর্ক ঠিক থাকলেও তাঁদের মধ্যে বিভেদ বেড়েই চলছিল।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালে কারিনা কাপুরের সাথে ঘনিষ্ঠতায় আসেন ( Bollywood News ) অভিনেতা। শোনা যায় ‘টাশান’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বেড়ে যায়। তারপর তাঁরা দুজনে একে অপরের সাথে ডেট করতে শুরু করে। বিয়ের আগে তাঁরা লিভ ইনও করেছেন। অবশেষে ২০১২ সালে তাঁরা বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এখন তাদেরও দুটো সন্তান রয়েছে জাহাঙ্গীর এবং তৈমুর।

তবে অমৃতা সিং এখনো পর্যন্ত কোন বিয়ে করেননি। কারণ তখন সাইফ আলি খান তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। এমনকি তাদের দুই সন্তানকে ছেড়ে চলে যান তিনি। সেই সময় তিনি নিজের দায়িত্ব নিয়ে তাঁর দুই সন্তানকে বড় করে তোলেন। এই জন্যই অমৃতা সিং এখনো পর্যন্ত কারো সঙ্গে ( Bollywood News ) সম্পর্কে জড়ায়নি।
আরও পড়ুন….ক্রিকেটার ঈশান কিষানের প্রেমিকা সৌন্দর্যে হার মানাবে নায়িকাদেরও, রইল ‘হট’ ছবি
সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর আগে করণ জোহরের চ্যাট শো-তে এসে নিজের বাবা ও মায়ের সম্পর্ক নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন সারা আলি খান। সম্প্রতি একটি টক শো-তে এসে সারা জানিয়েছেন, “আমি আমার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে থাকি। মা আমার সবকিছু। তবে বাবার সঙ্গেও দারুণ বন্ধুত্ব। যখনই ফোন করি বাবাকে পাই কিংবা ইচ্ছা হলে বাবার কাছে গিয়েও ঘুরে আসি।”
আরও পড়ুন….বিপুল অঙ্কের বাজেট , বলিউডে সর্বাধিক ব্যয়বহুল গান এই পাঁচটি
সারা আরও বলেন, “আসলে সত্যি বলতে কী মা ও বাবা দুজনে একসঙ্গে মোটেই সুখী ছিলেন না। ওনাদের খুশি থাকার মেজাজটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই ভাল বলে আমার মনে হয়। এতে ওরাই যেমন ভাল রয়েছে তেমনই আমি ও ভাই দিব্যি আছি। কোনও দম্পতির কাছে দুটি অপশন থাকে। প্রথম নিজেরা ভাল না থেকেও সারাজীবন একসঙ্গে থাকা। এবং দ্বিতীয়টি হল বিবাহবিচ্ছেদ। আর মা ও বাবা সেটাই করেছে। এখন সকলেই খুশিতে রয়েছেন।”