Chhorii Review: ‘এ ছোড়ি’ কোনটা আসল, কোনটা নকল! রইল নুসরত বারুচার নতুন ভুতের ছবির রিভিউ

‘এ ছোড়ি’…… এই ডাক খুব মাতৃ-সুলভ। মায়েরাই তো ভালবেসে ‘মেয়ে’ (Chhorii) বলে ডাকে। কিন্তু কে যে অভিনয় করে ভালবাসছে আর কে যে নিজের মনে করে ভালবাসছে তা সত্যিই বলা মুশকিল। এই সিনেমা (Movie) শুরু হচ্ছে, এই ভালবাসা (Love) দিয়ে। মাঠে কিছু বাচ্চা ছেলে খেলছে, কিন্তু সামনে দাঁড়ানো একটি বাচ্চা মেয়ের মন খারাপ। কারণ তাকে ছেলেরা খেলায় নিচ্ছে না। সামনে দাঁড়ানো রিলের ‘সাক্সী’ (Sakshi) আর রিয়ালে ‘নুশরাত’ (Nushrat Bharucha) । সাক্সী এসে বোঝাতেই সবাই একসাথে খেলতে লাগল। আর ক্যামেরায় ভেসে উঠল একঝাক কচিকাঁচার হাসি মুখ।
আসলে ছবির লিড ফিমেল ক্যারাক্টার (Lead Female Character) ‘সাক্সী’ বাচ্চাদের ভালবাসে। সে নিজেও মা হতে চলেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে এক বিপত্তি। একদিন হঠাত তার বাড়িতে কিছু গুণ্ডা হামলা করে। ‘সাক্সি’র স্বামী ‘হেমন্ত’কে তারা খুব মারধর করে। সে কিছু ধার শোধ না করার জন্যেই এমন পরিস্থিতি। এই ঘটনার পর হেমন্ত বলে কিছুদিনের জন্যে শহর থেকে বাইরে যাওয়া দরকার; সাক্সীও রাজি হয়ে যায়। তারা এসে ওঠে হেমন্তের ড্রাইভারের দেশের বাড়িতে। আর এখান থেকেই গল্প মোড় নেয় এক অন্য দিকে।
এই জায়গাটির নিজস্ব একটি ভয়ঙ্কর ইতিহাস রয়েছে। এখানে সাক্সি’র পরিচয় হয় ড্রাইভারের স্ত্রী এর সাথে। গল্পের ক্লাইম্যাক্স পর্যন্ত ‘তাই’এর চরিত্র কিছুটা রহস্যময়ই থাকছে দর্শকের কাছে। এর সাথে সাক্ষী সেখানে তিন শিশু ও অন্য এক গর্ভবতী নারীকেও দেখতে পায়। এইভাবেই, ছবিটি কিছু জায়গায় দর্শকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রথম থেকে যদি গল্পটি বোঝা যায়, তাহলে ছবিটি ভয় দেখায় না বরং সচেতনতা তৈরি করে। এভাবেই চলে ‘ছোড়ি’র গল্প।
পরিচালক বিশাল ফুরিয়ার মারাঠি ছবি ‘লাফাঝাপি’র রিমেক ‘ছোড়ি’ এককালীন একটি ভাল গল্প। কিন্তু দর্শক এই ছবিকে বড় পরিসরে দেখার চেষ্টা করলেই নিরাশ হয়ে পরবে। একঘেয়ে ক্যামেরার একই শট ছবির মাঝখানেই দর্শকের ধৈর্যচ্যুতি করে। বিশাল ফুরিয়া ভয়ভীতি দেখিয়ে মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ঠিকই কিন্তু তা যে একেবারেই দর্শকের কাছে পৌছায় না তা বলা চলে। অভিনয়ের কথা বলতে গেলে, নুসরাত ভারুচা (Nushrat Bharucha) ভাল কাজ করেছেন। ড্রাইভারের স্ত্রীয়ের ভূমিকায় মিতা বশিষ্ঠের (Mita Vashisht) অভিনয়ও দেখার মত। কিন্তু খুব পুরনো ধরনের গল্প, দুর্বল স্ক্রিপ্ট এবং হরর ফ্যাক্টরের অভাবের কারণে ছবিটিকে ৪/১০ দেওয়া যেতে পারে।