“বাবা তোমাকে খুব ভালোবাসি!” গায়ককে চিতায় তুলতেই অঝোরে কান্না KK-কন্যার

অনীশ দে, কলকাতা: শেষ গানটা যখন গেয়েছিলেন, তখনও কেউ আন্দাজ করতে পারেনি আসন্ন পরিস্থিতির কথা। হোটেল পৌঁছে কিছুক্ষণের সময় ব্যাস।তারপর সবাইকে ছেড়ে সুরলোকে পাড়ি দিলেন কেকে (KK)। মাত্র ৫৪ বছর বয়সী গায়কের এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড। কেকে পুত্র নকুল তার দেহ নিতে কলকাতা এলেও মেয়ে তামারা ছিলেন মুম্বাইতে। বাবার উদ্দেশে নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন, ‘তোমাকে চিরকাল ভালোবাসব ড্যাড’। কেকে-র মৃত্যুর প্রতি আপডেট তার মেয়ে (Tamara) এবং স্ত্রী জ্যোতি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
বুধবার গান স্যালুট দিয়ে তাকে বিদায় জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিকক্ষণের জন্য তার দেহ শায়িত ছিল রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে। বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত নিজের বাসস্থানে শায়িত ছিলেন কেকে। মুম্বাইয়ের ভারসোভার বাড়িতে তাকে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা এবং তাঁর সহকর্মীরা। কেকে-কে শেষবার দেখতে উপস্থিত হয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, সেলিম, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, শঙ্কর মহাদেবন প্রমুখ।
বৃহষ্পতিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার। দুপুর ১টার সময় ছেলের কাঁধে চেপে শেষবারের মত বাড়ি থেকে বেরলেন কেকে (KK)। ভারসোভা মহাশ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টি কাজ করেন তার ছেলে নকুল (Nakul)। উপস্থিত ছিলেন মেয়ে তামারা এবং জায়া জ্যোতি। কৃষ্ণ কুমার কুন্নাত ওরফে কেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জিঙ্গেল গেয়ে। পরবর্তীকালে সিরিয়াল এবং সবশেষে প্লেব্যাকে নিজের ক্যারিশমা দেখান তিনি। একটা প্রজন্মের সমস্ত ভাবাবেগের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে কেকে (KK)।
বলিউডের একাধিক গায়ক টুইট করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন কেকে-কে (KK)। কিন্তু কেকের মৃত্যুর পর বারবার একটি প্রশ্নই উঠে আসে, আয়োজকদের গাফিলতির কারণেই মারা গেলেন না তো কেকে? কারণ নজরুল মঞ্চে ২৫০০ জনের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে সেদিন প্রায় ৭০০০ জন পৌঁছে যায়। নজরুল মঞ্চের সিকুরিটি গার্ডরা জানিয়েছেন যে এরকম ভিড় তারা আগে কোনোদিন দেখেননি। রাজ্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকলেও ব্যবস্থাপনায় কেন ত্রুটি? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এমনকি কেকে শেষের দিকে খুব ঘামছিলেন দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আয়োজকরা, কিন্তু কেন? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এসি বন্ধ থাকায় ভিতরে আরও নাজেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠান শেষে কেনই বা হাসপাতালে না নিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে? রয়েছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র জানিয়েছেন, সেখানে কোন ব্যবস্থা ছিল না, এসি একদম ঠিকঠাক চলছিল। যে কোনো কমিশনের কাছে আমি বলতে রাজি।