‘তুম মিলে’র মতো একের পর এক সুপারহিট গান! কিন্তু তাও মেলেনি প্রাপ্য সম্মান, চিনে নিন এই গায়ককে

আমাদের রোজকার জীবনের সাথে গান ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। আমাদের সুখ দুঃখ সবকিছুর সাথেই জড়িয়ে রয়েছে গান। বিভিন্ন ধরনের গান বিভিন্ন সময় আমাদের মনে বিশেষ প্রভাব ফেলে। এমন বহু গায়ক রয়েছেন, যাদের গানের মাধ্যমে মানুষ নিজেদের নতুন করে ফিরে পেয়েছে। যাদের গানের সাথে নিজেদের জীবনকে জড়িয়ে ফেলেছে মানুষ। দেশে বহু গায়ক এমন রয়েছেন যাদের গান ছাড়া আমাদের দিন অসম্পূর্ণ থাকে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সে সব গায়কের সম্বন্ধে আমাদের সেরকম কোনো ধারণাই নেই। যাদের নিয়ে সেভাবে কোন রকম কথা হয় না। আর সেইসব গায়ক দের মধ্যে একজন হলেন নিরাজ শ্রীধর।
বর্তমান যুগের দাঁড়িয়ে নিরাজ শ্রীধরের নাম বেশিরভাগ মানুষের কাছে অপরিচিত লাগবে। এখনের মানুষের কাছে তিনি একজন অপরিচিত চেহারার গায়ক। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে তার গান শোনেনি এমন লোক পাওয়া যাবে না। নিরাজ শ্রীধর ছিলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড বোম্বে ভাইকিংস গ্রুপের লিড ভোকালিস্ট। তার গানের সুরেই কেটেছে এই যুগের অনেকের ছেলেবেলা। ‘ওহহ চালি’ গানটির রিমেক ভার্সন গেয়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন নিরাজ।২০০৬ সাল থেকে ফিল্মে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। আর ২০০৭ সাল থেকেই পেতে থাকেন একের পর এক হিট গান। এমনকি কম্পোজার প্রীতমের সুরে গান গেয়েছেন তিনি। যে সব গান গুলি আজও স্মরণীয় আমাদের কাছে।
আমাদের শোনা জনপ্রিয় গান গুলির মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ গান নিরাজ শ্রীধরের গাওয়া। ভুলভুলাইয়া টাইটেল ট্রাক, ক্যারেক্টার ঢিলা, খোয়াব দেখে, চোর বাজারী, তুম হি হো বন্ধু থেকে শুরু করে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর গান আমাদের উপহার দিয়েছেন তিনি। এসব গানের মাধ্যমে এ যুগের ছেলে মেয়েদের ছেলেবেলা সুন্দর করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত ১৯৯৪ সালে পপ গ্রুপ বম্বে ভাইকিংস গঠন করেছিলেন নিরাজ। জনপ্রিয় এই ব্যান্ডটি প্রথম গড়ে উঠেছিল সুইডেনে। এই ব্যান্ডটিতে নিরাজ শ্রীধরের সাথে অস্কার সোডারবার্গ এবং ম্যাটস নর্ডেনবার্গের মতো অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন। স্টকহোমে বেড়ে ওঠা শ্রীধর ছোটবেলাতেই পপ রক এবং জ্যাজের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবুও, তিনি অতীতের ক্লাসিকের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। শুরুতে হিংলিশে বেশিরভাগ গান গাওয়ায় অনেকের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। যদিও পরে তারই গান মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে এটা খুব আশ্চর্যের বিষয় যে আজও আমরা অনেকে গান শুনলেও সেসব গানের শিল্পীদের সম্বন্ধে সেরকম কোনো খবর রাখি না। আমাদের শোনা অনেক জনপ্রিয় গানের গায়করা এমন আছেন যারা প্রায়ই লাইমলাইটের বাইরে থাকেন। যাদের নিয়ে কখনও আলোচনা করা হয় না। তা সে কেকে ( KK death ) হোক বা অন্য কোনো শিল্পী, যাদের কণ্ঠে একসময় বলিউড মেতে ছিল, তাদের অন্তত মনে রাখা উচিত।