Vicky-Katrina wedding- এই বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদেই বিয়ে হচ্ছে ভিকি-ক্যাটের, ভাড়া আর আড়ম্বরের কথা শুনলে চমকে যাবেন
অহেলিকা দও,কলকাতা: বলিউডে বিখ্যাত জুটি(couple) এখন ক্যাটরিনা কাইফ(Katrina Kaif) ও ভিকি কৌশল(vicky koshal)। এদের বিয়ে নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে। আবার শোনা যাচ্ছে এরা দুজনে বাগদান(engagement) পর্বও সেরে ফেলেছে। এবার শুধু বিয়ের পালা। আসুন জেনে নি কবে এবং কোথায় হচ্ছে বিয়ে?
ক্যাট ও ভিকির বিয়ের খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়ালেও তাদের তরফ থেকে কোনোরকম খবর আসে নি। তবে সূত্রের খবর, এই তারকা জুটি রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের গ্র্যান্ড সিক্স সেন্স ফোর্ট বারওয়ারায় চার হাত এক করতে চলেছেন। তারা এই বছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
এই ফোর্টে ৭৫৩ বর্গফুট (৭০ বর্গ মিটার) থেকে ৩,০১৪ বর্গফুট (২৮০ বর্গ মিটার) পর্যন্ত ৪৮টি স্যুট রয়েছে। এর উপরে উঠলে পশ্চিম শাখা বারওয়ারা গ্রাম এবং তার বাইরের দৃশ্য দেখা যায়। এখানকার প্রতিটি বাসস্থান রাজস্থানী শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইতিহাসের পুনর্ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে গদি, সুতির বিছানাও হস্তনির্মিত করা হয়েছে।
এখানে আমরা আপনাদের রাজস্থানের এই বিশাল ঐতিহাসিক দুর্গের সৌন্দর্যের ভার্চুয়াল নির্দশন দেখাবো-
১) ইতিহাস- চৌথ কা বারওয়ারা মন্দিরের মুখোমুখি এই প্রাচীর ঘেরা দুর্গটি মূলত রাজস্থানী রাজপরিবারের মালিকানাধীন ছিল। দূর্গের স্থাপত্যের মধ্যে ঐতিহাসিক রাজকীয় কারূকার্য় সুস্পষ্ট।
২) সিক্স সেন্স হোটেল- আপনারা হয়তো জানেন না এই সম্প্রতি এই দূর্গটি একটি হোটেলে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এটি ভারতের প্রথম সিক্স সেন্স বিলাসবহুল ব্র্যান্ড হোটেল। এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপ (IHG) নামে পরিচিত। এই হোটেলটি ২০২১ এর ১৫ অক্টোবর অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
৩) ফিটনেস সেন্টার- এখানে একটি ৩০ হাজার বর্গফুট স্পা এবং ফিটনেস সেন্টার রয়েছে। সাধারণ এখানে অতিথিরা ধ্যান এবং অন্যান্য শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করেন।
৪) দূর্গের ইতিহাস- মূল দূর্গটি ১৪ শতকে চৌহানদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ৭০০ বছর পুরনো এই দূর্গটির পুনরায় নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। প্রাচীরের মধ্যে এখনও দুটি প্রাসাদ ও একটি মন্দির রয়েছে।
৫) হ্রদ- দুর্গটি সংবেদনশীলভাবে সংরক্ষিত এবং একটি বিলাসবহুল হোটেলে রূপান্তরিত। এছাড়া অতিথিরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। স্থানীয় মানুষদের কাছে এই হ্রদটি অত্যন্ত পবিত্র।
৬) বণ্য প্রাণী- এই দূর্গের কাছেই অবস্থিত বিখ্যাত রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান। এই জাতীয় উদ্যানটি দূর্গ থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। ফলে এই দূর্গের আসেপাশেই বাঘ এবং অন্যান্য বণ্য প্রাণীর আবাসস্থল।
৭) স্থানীয় সম্প্রদায়- হোটেলটি বন ও হ্রদ রক্ষার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। তাদের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো একটি স্বাস্থ্যকর বাস্তুতন্ত্রের জন্য গাছপালা লাগানোর অভ্যাস তৈরি করা।
আরও পড়ুন……Vicky-katrina Weeding- থাকছে কড়া বিধিনিষেধ, হেলিকপ্টার থেকে বিয়ের আসরে নামবেন ভিকি-ক্যাট
৮) রাজকীয় বাসস্থান- দূর্গটিতে ৪৮টি রাজকীয় স্যুট রয়েছে। সেখানকার কয়েকটি রুম থেকে গ্রামাঞ্চলের দৃশ্য দেখা যায়। আবার কয়েকটি রুম থেকে আরাভল্লি রেঞ্জের রোমাঞ্চকর দৃশ্যও দেখা যায়। এছাড়া রাণী রাজকুমারী স্যুট আছে যেখান থেকে লেক, চৌথ কা বারোয়ারা মন্দির ও আরাবলী রেঞ্জকে দেখা যায়।
৯) অসাধারণ অভিজ্ঞতা- এখানে থাকাকালীন আপনি আরাবলি সূর্যাস্তের দর্শন না দেখে থাকতে পারবেন না। এছাড়া হ্রদের সৌন্দর্যতা থেকে শুরু করে জঙ্গল সাফারি এক অসাধারণ আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা।
১০) সুস্বাদু স্থানীয় খাবার- হোটেলের শেফরা পর্যন্ত এখানকার খাবার বেছে নিয়েছে। এছাড়াও হোটেলের অতিথিরা সুস্বাদু রাজস্থানী খাবার থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান খাবার পাবেন। এখানকার রান্নাঘরের প্রতিটা খাবার স্থানীয়, তাজা এবং মৌসুমি পণ্য থেকে তৈরি করা হয়। করটিল, রুহানি, রাজাওয়াত রুম এবং রানি বাগ হল এখানকার কিছু আকর্ষণীয় খাবারের নাম।