Tajmahal – কলিযুগের শাহজাহান! স্ত্রীকে উপহারে আস্ত তাজমহল দিলেন মধ্যপ্রদেশের ব্যক্তি

রাখী পোদ্দার, কলকাতা: তাজমহল (Taj Mahal), প্রেমের সন্দিহান। আজও প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ভালবাসার স্বরূপ হিসাবে উপহার দেন ‘তাজমহল’। না না, আসল তাজমহল নয়, মাটির বা প্লাসটার প্যারিসের। কিন্তু এটা কি শুনেছে, সত্যিই কোন প্রেমিক নিজের প্রেমিকার জন্যে বানিয়ে দিয়েছেন আসল তাজমহল? মুঘল (Mughal) সাম্রাজ্যের অন্যতম সফল কার্য হল তাজমহলের নির্মাণ। যেটি উত্তরপ্রদেশের আগ্ৰা (Agra Uttarpradesh) শহরে অবস্থিত। ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আজও প্রত্যেক মানুষের মুখে মুখে ফেরে তাজমহল। মুঘল সাম্রাজ্যের পঞ্চম সম্রাট শাহজাহান (Shah Jahan), তাঁর স্ত্রী মমতাজের (Mumtaz) মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিতে নির্মাণ করেছিলেন এই ঐতিহাসিক সমাধির। এতো সবারই জানা, কিন্তু আপনি কি জানেন আজ ও কোন এক ব্যক্তি এই উপহার দেন তার স্ত্রীকে?

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের ( Burhanpur, Madhya Pradesh) এক বাসিন্দা উপহার স্বরূপ নিজের স্ত্রীকে তাজমহলের প্রতিরূপ তৈরি করে দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন। শিক্ষাবিদ আনন্দ প্রকাশ চকসে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুষা চকসের জন্য তিনি চার বেডরুমের (Bedroom) একটি অনবদ্য কারিগরি তৈরি করেছেন। অনুপ্রেরণার জন্য সম্প্রতি এই দম্পতি আগ্ৰায় গিয়েছিলেন তাজমহল প্রত্যক্ষ করার জন্য। তারা সেখানে স্থাপত্যটির নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করেন এবং প্রকৌশলীদের কাঠামোগত বিবরণ নোট করতে বলেন। বুরহানপুর এবং বাইরের কারিগরদের দল দ্বারা আড়াই বছর কাজ করার পর, অবশেষে প্রস্তুত করা হয়েছে তাজমহলের মতো দেখতে বাড়িটি। স্বল্প খরচের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এটি পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও চৌকসি বলেন, তরুণ প্রজন্মের দম্পতিদের প্রাক-বিবাহের ফটো শুটিং (Pre – wedding photo shoot) এর জন্যও এটি একেবারে নিখুঁত জায়গা।

মধ্যপ্রদেশের তাজমহল,শিক্ষাবিদ বানালেন তাজমহল,তাজমহলের অদ্ভুত গল্প,The Taj Mahal in Madhya Pradesh,academics built the Taj Mahal,the strange story of the Taj Mahal

তাজমহল রেপ্লিকা হাউসে রয়েছে একটি বড় হলঘর(Hall Room ), চারটি বেডরুম(Bedroom),একটি লাইব্রেরি(library), একটি প্রশস্ত রান্নাঘর( Specious Kitchen)এবং রয়েছে ধ্যান করার (Meditation Hall Room) জন্য একটি হলঘর। তাজমহল রেপ্লিকা হাউসের পরামর্শক প্রকৌশলী প্রবীণ চৌকসির মতে, “তাজমহলের বিশদ নকশা অধ্যয়নের জন্য আমাদের দলের প্রায় এক মাস সময় লেগেছিল, তারপর কয়েক সপ্তাহের পরিকল্পনা, অভিজ্ঞ ঠিকাদার মুশতাক ভাইয়ের দ্বারা পরিচালিত, বুরহানপুর এবং বাইরের কারিগরদের দ্বারা আড়াই বছরে এই স্বপ্নের প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, বাড়িটি মিনার সহ ৯০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত।

ইন্দোর এবং পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ কারিগররা সিমেন্টের খোদাই করেছে, রাজস্থানের কারিগররা করেছে মাকরানা থেকে আসা শ্বেত পাথরের উপর চমৎকার কাজ। মেঝেতে পাথরের উপর সুন্দর কাজে হাত লাগিয়েছে আগ্রার কারিগররা, আবার আসবাবপত্র এবং ইন্টেরিয়র কাজগুলো( Furniture and Interior Work) করেছে মুম্বাই ও সুরাটের কারিগররা। মিঃ চৌকসি বিশ্বাস করেন যে তার বাড়িটি এমন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে যা বুরহানপুরে আসা কোনও পর্যটক মিস করতে পারবেন না।




Back to top button