চার সন্তানের বাবা! তবু ছেলেমেয়েদের মুখে জীবনে বাবা ডাক শোনেননি মিঠুন চক্রবর্তী

মন্টি শীল, কলকাতা : ডিস্কো ডান্সার, সিনেমা প্রেমিদের মনে এই নাম আসলেই উঠে আসে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার নাম। অভিনেতা তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রমের দরুন বাংলা এবং হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সমান্তরাল ভাবে কাজ করে আজ সফলতার শীর্ষে পৌছে গিয়েছেন। অভিনেতা সিনেমা প্রেমিদের উদ্দেশ্যে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। এমনকি টেলিভিশন জগতেও নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। নিঃশ্চই বুঝতে পারছেন এখানে কোন জনপ্রিয় অভিনেতার কথা বলা হচ্ছে, তিনি আর কেউ নন, বলিউডের ডিস্কো ডান্সার ( Disco Dancer ) মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )।
অভিনেতা তাঁর অভিনয়ের কৌশলের দরুন অসংখ্য সিনেমা প্রেমিদের মন জয় করেছেন। এমনকি টেলিভিশন জগতের একাধিক জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো তে বিচারকের আসনে বসে নিপুণতার সঙ্গে নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এই জনপ্রিয় অভিনেতা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারলেও তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে একটি বিশেষ জায়গায় ব্যর্থ হয়েছেন। আর সেটা কি জানেন? অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty ) চার সন্তানের বাবা বাবা হওয়া সত্তেও আজ পর্যন্ত বাবা ডাক থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
শুনলে অবাক মনে হলেও, একদা অভিনেতা নিজেই প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিনেতার বড় ছেলে মিমো অর্থাৎ মহাক্ষয় চক্রবর্তী ( Mahaakshay Chakraborty ) জন্মের চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও কোন রূপ কথা বলতে পারতেন না। এরপর আচমকাই একদিন মিমো অভিনেতা ‘মিঠুন’ বলে ডেকে বসেন। তবে পরবর্তী সময়ে এই বিষয় নিয়ে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে তাদের মত ছিল, মিমো-কে বারংবার ‘মিঠুন’ বলানোর চেষ্টা করানো হত। যার দরুন পরবর্তী সময়ে সেটাই তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
তবে এতো গেল অভিনেতার বড় ছেলে মিমো এর প্রসঙ্গ। এই তথ্য সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, যে তবে অভিনেতার বাকি সন্তানরা কেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )-কে বাবা বলে সম্বোধন করেন না কেন? যদিও একদা অভিনেতা নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty ) এর মন্তব্য অনুযায়ী, শৈশব সময় থেকেই তাঁর বাকি সন্তানরা মিমো-কে ‘মিঠুন’ বলে ডাকতে শুনে তাঁরাও ‘বাবা’ ছেড়ে ‘মিঠুন’ ডাকে আশ্রয় নেন। যদিও অভিনেতার মতে তাঁর সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। যদিও এর প্রমাণ একাধিকবার পাওয়া গিয়েছে নেট দুনিয়া জুড়ে।