শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan)মন্নতের অন্দরমহলে কে লুকিয়ে থাকেন জানেন, তার পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞাত সাধারণ মানুষ.. তাহলে দেখে নিন

শাহরুখ খানের(Shahrukh Khan) বাড়ি মন্নতের অন্দমহলের কিছু অজানা তথ্য প্রকাশ্যে এলো এবার,তার বাড়িতে আড়ালে থাকেন এক মহিলা কে তিনি ? এক গা শিউরে ওঠা গল্প

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান(Shahrukh Khan)। কিং খানের ব্যাক্তিগত জীবনের সম্পর্কে জানতে সর্বদা আগ্রহী থাকে সকলেই। আজকে শাহরুখ খানের(Shahrukh Khan) বাড়ি মন্নতের অন্দমহলের কিছু অজানা তথ্য নিয়ে আলোচনা করা যাক। শাহরুখের মন্নতেই(Mannat) থাকেন শেহনাজ লালারুখ খান। এই মানুষটি বার বার তার জীবনযুদ্ধে হার মেনেছেন, জীবনে এসেছে একের পর এক দুর্ঘটনা বর্তমানে সামলে উঠলেও ক্লান্তির রেশ এখনো কাটেনি। আজ একাকীত্বকে সঙ্গী করেই বেঁচে রয়েছেন তিনি।

shahrukh khan,srk,mannat

অন্যদিকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন তার ভাই শাহরুখ খান(Shahrukh Khan)। বলিউড(Bollywood) ইন্ডাস্ট্রির বাদশা নামে পরিচিত তিনি। অথচ শেহনাজ তার ভাই বলিউডের বাদশা অর্থাৎ কিং খানের এই গ্ল্যামারে ভরা, জগৎ থেকে থেকে শত শত মাইল দূরে রয়েছেন। তার অস্তিত্ব সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাকে কেউ কোনদিনও চোখেও দেখেনি। তিনি কোনদিনও এই গ্ল্যামার জগতে পা পর্যন্ত রাখেননি। এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের ক্যামেরা তাকে বন্দী করেনি কোনদিনো । তিনি তার ভাই কিং খানের মন্নতের ভিতরেই থাকে। তবুও বাড়ির বাইরের দুনিয়া তার খোঁজ পায়নি। তিনি বাড়ির বাইরের জগতে কখনো আসেনি।

শাহরুখ( Shahrukh Khan) কোনদিন ওই দিদিকে নিয়ে খুব বেশি কথা কোথাও প্রকাশ করেনি। অতীতের এক সাক্ষাৎকারে কিং খান একবার বলেছিলেন, ‘বাবা যখন মারা গেলেন, তখন আমার দিদি কাঁদেননি। একটাও কথা বলেননি। বাবা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন দিদি। তারপরই বোঝা যায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন দিদি।’ এখানেই থেমে থাকে না তার শোক, তার কিছুদিন পরেই তাদের পরিবারে নেমে আসে আরো এক শোকের ছায়া। এরপর শাহরুখ-লালারুখের মা মারা যায়। তখন পুরোপুরি ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন শাহরুখের দিদি।

shahrukh khan,srk,mannat

১৯৯৫ সালে শাহরুখ দিলওয়ালে(DDLG) দুলহানিয়ার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন কিং খান।শুটিং চলাকালীন হঠাৎই ফোন আসে শাহরুখের বাড়ি থেকে। শাহরুখকে জানানো হয় তার দিদি শেহনাজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং এটিও জানানো হয় যে তার দিদি প্রাণে বাঁচবেন কিনা সেই নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে ডাক্তারের।

বাবা মাকে বড্ড বেশি ভালোবাসতেন শেহনাজ তাই বাবা মায়ের মৃত্যুর পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং প্রায়শুই বাড়িতে থাকাকালীন দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি , মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেশ কয়েকবার । শেষবার গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি জীবন যুদ্ধে হার মানতে চলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিরেছেন তিনি। তবে বর্তমানে বিনোদন দুনিয়ার থেকে তিনি দূরেই থাকেন তিনি নিজের একাকীত্বকে সঙ্গী করে মন্নতের(Mannat) আড়ালেই বেঁচে রয়েছেন।




Leave a Reply

Back to top button