Holi 2022: হোলিকা দহনে শোধন, আর রঙে প্রেমময় মন, জানুন হোলিতে কি আর কি নয়

হোলিকা দহনকে( Holika Dahan 2022 ) অশুভ শক্তির ওপরে শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই বছর ১৭ মার্চ হতে চলেছে হোলিকা দহন ( Holika Dahan 2022 ) । তবে এই হোলিকা দহনের ( Holika Dahan 2022 ) বেশ কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। নয়তো জীবনে দেখা দিতে পারে সমস্যা।
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমাতে পালিত হয় হোলিকা দহন ( Holika Dahan 2022 )। শুভ মুহূর্তে হোলিকা দহনের পুজো করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। মনে করা হয় যে হিরণ্যকশিপু হোলিকার কোলে বসিয়ে ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিষ্ণুর মহিমায় হোলিকা নিজেই পুড়িয়ে শেষ হয়ে যান। সেই থেকেই পালিত হচ্ছে হোলিকা দহনের রীতি।
প্রতীক্ষার অবসান করে হোলি উদযাপন ( Holi 2022 ) শুরু হতে চলেছে। ২০২২ সালের হোলি উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশে সাজো সাজো রব। মনের কালো দিককে মিটিয়ে সকলের রঙে রঙ মিলিয়ে চলার পথ দেখায় বসন্তের এই উৎসব। উল্লেখ্য, দোল পূর্ণিমায় এই বসন্ত উদযাপনের উৎসব ঘিরে জ্যোতিষমতে রয়েছে তিথি। ২০২২ সালের হোলির ( Holi 2022 ) দিনক্ষণ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে বিভ্রান্তি। কোন দিনে পড়ছে পূর্ণিমা, তা কতক্ষণ স্থায়ী হবে, কখনইবা রয়েছে হোলিকা দহন? দেখে নেওয়া যাক এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।
দোলের আগের দিন প্রথা অনুযায়ী, ন্যাড়াপোড়া অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এই ন্যাড়াপোড়া পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িষাতে চল থাকলেও উত্তরভারত -সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে হোলিকা দহন(Holika Dahan) হিসেবে পালিত হয়। প্রতি বছর হোলির ( Holi 2022 ) একদিন আগে হোলিকা দহন বা ছোট হোলি পালন করা হয়। আর মাত্র একদিন বাকি।
আগামী ১৮ মার্চ রঙের উত্সবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। আর ১৭ মার্চ, আগামীকাল পালিত হবে হোলিকা দহন। এইদিন, অশুভ শক্তি যা কিছু,মন্দ যা কিছু, সবেরই ভাল দিক রয়েছে, সেগুলিকে উন্মোচন করাই লক্ষ্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই আগুন জ্বালিয়ে হোলিকা দহন উত্সব পালন করা হয়। এই প্রথা ফাল্গুনমাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়ে থাকে।
হোলিকা দহন উৎসব অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। হিন্দুধর্মের অনেক ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবে প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর দ্বারা হোলিকা বধকে উদ্যাপন করা হয়। এই দিনে প্রজ্বলিত অগ্নি অসুর হোলিকার দহনের প্রতীক। ভাদ্র তীর্থের সাধারণতা অনুসারে হোলিকা দহন মুহুর্তের শুভ সময় নির্ধারণ করা হয়। প্রদোষ কালের সময় জেনে পূর্ণিমা তিথি চলাকালীন সেই তারিখে সন্ধ্যায় হোলিকা দহনের আগুন জ্বালানো হয়। সাধারণত সূর্যাস্তের পরই প্রদোষ কালের মুহুর্ত শুরু হয়। হোলিকা দহন উৎসব অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। হোলিকা দহন হিন্দুদের কাছে অনেক তাৎপর্য বহন করে। হোলিকা দহনে কী করবেন এবং কী করবেন না, দেখে নিন একনজরে…
কী কী করবেন…
দৃক পঞ্চং অনুসারে, হোলিকা প্রজ্জ্বলনের আগে হোলিকা পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক মুহুর্তে পূজা করা উচিত।
একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান এবং আপনার বাড়ির উত্তর দিকে বা কোণে রাখুন। তাতে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
পরিক্রমার আগে পবিত্র আগুনে সর্ষন, তিল, ৫ বা ১১ টি শুকনো গোবরের ঘুঁটে, অক্ষত, চিনি, গোটা গমের দানা নিবেদন করুন।
হোলিকা দহনে একদিন উপবাস রাখুন বা পুজোর আগে ফল এবং দুগ্ধজাত পণ্য-সহ সাত্ত্বিক খাবার খান।
গোবর এবং গঙ্গার পবিত্র জল দিয়ে হোলিকার স্থানটি ধুয়ে ফেলুন।
হোলিকার ছাই সংগ্রহ করুন এবং শরীরে দাগ লাগান কারণ এটি ধার্মিক বলে মনে করা হয় এবং শরীর ও আত্মাকে শুদ্ধ করবে।
কী কী করবেন না
হোলিকা দহনের দিন কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে নেতিবাচক শক্তি বেশি প্রভাবশালী থাকে।
হোলিকা দহনের সময় আপনার মাথা খোলা রাখা উচিত নয়।
হোলিকা দহনের রাতেও মানুষ জাদু করে। তাই এই দিনে কারও বাড়িতে খাবার খাওয়া উচিত নয়।
এই দিনে বাসি খাবার খাওয়া উচিত নয় এবং দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে খাওয়া উচিত নয়।
যাঁদের পুত্র হয়েছে, তাঁরা যেন নিজে থেকে হোলিকা দহন না করেন। এটি যেন কোনও এক পণ্ডিত বা অন্য কেউ করেন।
সদ্য বিবাহিতা মহিলাদের হোলি পোড়া দেখা উচিত নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হোলিকা পোড়া দেখলে সদ্য বিবাহিতা মহিলাদের জীবনে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
হোলিকা দহনের দিন কোনও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা উচিত নয়।
হোলিকা দহনের রাতকে তন্ত্রের রাত হিসেবে ধরা হয়। এই দিনে নির্জন এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
আরও পড়ুন Child Violence: সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, পরপর এনকাউন্টারে মৃত দুই ধর্ষক
আরও পড়ুন নামাজ পড়ছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী!ছবি ভাইরাল হতেই উঠল বিতর্কের ঝড়