“মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৪০ কেজি সোনা” দাদাগিরি মঞ্চে গোকুল ডাকাতের স্মৃতিচারণ

বাংলার বুকে একটা সময় ছিল যখন রাজ ছিল জমিদারদের। জমিদারদের কথাতেই উঠতে বসতে হত সমাজের আর পাঁচটা মানুষকে। তবে যুগের সাথে চলতে চলতে সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে জমিদারি প্রথা। হারিয়েছে সেই বর্বরতা, সেই অত্যাচার। এই জমিদারকালেই উত্থান হয়েছিল ডাকাত শ্রেণীর। জমিদারদের জীবন তছনছ করেই নিজের জীবনকে গড়ে তুলত তৎকালীন ডাকাতের দল। আর এই সকল ডাকাতদের ( Dadagiri ) মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ডাকাত ছিল গোকুল নশকর। তার নাম শুনলে কেঁপে উঠত জমিদার বাড়ি। তার নামটাই চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিত সকলের কপালে। তবে সেই যুগ পার করে আমরা এখন আধুনিক যুগে। এখন আর ডাকাত দল সেরকম দেখা যায় না বললেই চলে। তবে এখনও কিন্তু এই সমাজের বুকেই রয়েছেন সেই কালের কুখ্যাত ডাকাত গোকুল নশকর।
তবে ডাকাতি ছেড়েছেন বহুকাল। এক সময়কার কুখ্যাত ডাকাত এখন হয়ে উঠেছে সমাজসেবী। মানুষের সাহায্য করেই আনন্দে বেঁচে থাকেন তিনি। সমাজের বুকে তাঁর অস্তিত্ব আবার যেন হয় উঠেছে গভীর। মানুষ তাঁকে ভুলে গেলেও তিনি মানুষকে ভোলেননি। নিজের অস্তিত্বকে আবার একবার মানুষের সামনে তুলে ধরতে এদিন তিনি চলে আসেন বাংলার বিখ্যাত ( Dadagiri ) রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি’-তে। বাঙালির দাদার সঙ্গে চোখে চোখ করে খেলেন সকল পর্ব। টেলিভিশনের মাধ্যমেই মানুষের সামনে তুলে ধরেন সেই সময়ের অজানা গল্প।
১৮ বছর বয়স থেকেই নেমেছিলেন ডাকাতি করতে। তবে সাধারণের ক্ষতি তিনি কখনই চাননি। বুর্জুয়া শ্রেণীর চিন্তার কারণ ছিল গোকুল নশকর। ডাকাতি করেছেন শুধুই জমিদারদের বাড়ি। এদিন দাদাগিরি-র মঞ্চে এসে তুলে ধরেন নিজের সেই সকল ( Dadagiri ) অভিজ্ঞতা। হাসি-মজা-খেলার ছলেই চলে অভিজ্ঞতার ভাগাভাগি। এদিন নিজের অতীতের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জমিদারদের বাড়িতেই চলত ডাকাতি। একটি বাড়ি থেকে একবার চল্লিশ কেজি সোনা ডাকাতি করা হয়েছিল। তবে এই ডাকাতি করতে গিয়ে কোনও দিনই প্রাণে মারা হয়নি কাউকেই। মাথায় বন্দু ঠেকিয়েই কেড়ে নেওয়া হয়েছে সমস্ত সোনা-গয়না। তারপর বড় বাজারে এসে সেই সকল সোনা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন….রশ্মিকা থেকে সামান্থা, কেমন দেখতে মেকআপ ছাড়া সাউথের এই নায়িকাদের
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘বড় বাজারে যে সকল দোকানে আমরা সোনা বিক্রি করতাম, তাদের কাছে আগে থেকেই আমাদের ডাকাতির খবর থাকত। তৎকালীন সময়ে দাঁড়িয়ে ২৫০ টাকার দরে ( Dadagiri ) সোনা বিক্রি করে দিতাম। সেই বার ৪০ কেজি সোনা বিক্রি করে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা উঠে গেছিল। তারপর সেই টাকাই নিজেদের মধ্যে আমরা ভাগ করে নিয়েছিলাম। টাকার হিসাব লাগালে সেই তিন-চার লাখ টাকা বর্তমানে দশ-পনেরো লাখ কিংবা তারও বেশি টাকার সমতুল্য।’