‘দেবদাস’ ছবিতে কোরিওগ্রাফি করার কথা ছিল, রাজনীতির প্রস্তাবও এসেছে, বললেন মমতা শঙ্কর
মৃণাল সেনের ছবি মানেই মমতা শঙ্কর। কত যে অনবদ্য ছবি উপহার দিয়েছেন। ‘খারিজ’ থেকে শুরু করে ‘মৃগয়া’। একের পর এক। সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সিনেমা।

মৃণাল সেনের ছবি মানেই মমতা শঙ্কর। কত যে অনবদ্য ছবি উপহার দিয়েছেন। ‘খারিজ’ থেকে শুরু করে ‘মৃগয়া’। একের পর এক। সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সিনেমা। মমতা শঙ্কর অবশ্য সত্যজিৎ রায়ের ছবিতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু মৃণাল সেনের ছবিতে তাঁর রসায়ন অন্যরকম।
সম্প্রতি মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পর্দায় নতুন ছবি আনছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। নাম ‘পালান’। ‘খারিজ’ ছবির চরিত্ররাই হাজির হবেন পর্দায়। তবে নতুন গল্পে, নতুন আঙ্গিকে।
খারিজ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২ সালে। নাবালক পরিচারক ‘পালান’-এর মৃত্যু দিয়ে শেষ হয়েছিল ছবি। ‘মমতা সেন’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মমতা শঙ্কর। ছবিতে একটা দৃশ্য ছিল, পালানের মৃত্যুর পর মাইনে নিতে এসেছেন তাঁর বাবা। তাঁর হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন মমতা শঙ্কর। সেই দৃশ্য করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। আজও সে কথা মনে পড়ে তাঁর। বললেন, ‘আমি কান্না থামাতে পারছিলাম না। মৃণালদা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেন। ভীষণ খুশি হয়েছিলেন’।
মমতা শঙ্কর শুধু অভিনেত্রী নন, নামী নৃত্য শিল্পীও। তাঁর বাবা উদয় শঙ্কর শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পের এক স্তম্ভ। কিন্তু ছবিতে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কেন দেখা যায় না মমতা শঙ্করকে? অনেকেই জানেন না সঞ্জয় লীলা বনশালীর ‘দেবদাস’ ছবিতে কোরিওগ্রাফি করার কথা ছিল তাঁর। মমতা শঙ্কর বললেন, ‘শেষ পর্যন্ত অবশ্য করা হয়ে ওঠেনি। ডেট ক্ল্যাশ করে গেল। তবে আমার নাচ ভিডিও করে তুলে নিয়ে গিয়ে সেভাবে করিয়েছিলেন সঞ্জয়। আমার অনেক মুভমেন্ট নেওয়া হয়েছিল। ‘আবহমান’ ‘বিজয়ার পরে’ ছবিতেও কোরিওগ্রাফি করেছি’।
বলিউড হোক কিংবা টলিউড। অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই রাজনীতিতে পা দিয়েছেন। বাংলায় তো ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। তবে মমতা শঙ্করের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে একদমই নেই। তাঁর কথায়, ‘অনেকে বলেছেন। বহু প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু নাহ, আমি রাজনীতির কিচ্ছু বুঝি না। ওর থেকে শত হস্ত দূরে’।