নেশাখোরদের ডেরা! গাঁজা-হিরোয়িনে মত্ত্ব হয়ে NCB-র জালে পড়েছেন যে সব বিখ্যাত বলি তারকারা

সুশান্ত মৃত্যুর প্রায় দু’বছর পর খবরে সেই মাদক মামলা। গোটা দেশ জুড়ে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সিদ্ধান্ত কাপুরের মাদক মামলায় গ্রেফতারের খবর। বলিপাড়ায় ফের অশনি সংকেত। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিপাড়ায় তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। তাঁর রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে মাদক ষড়যন্ত্রের হদিশ পেয়েছিল NCB। আর তারপর থেকেই উত্তেজনার সংক্রমণ ঘটে দেশ জুড়ে। একের পর এক বলি তারকাদের ঘরে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বলিউডে মাদক মামলা অবশ্য আজকের তথ্য নয়। এর আগেও সঞ্জয় দত্তের মতো বহু তারকা এই মামলায় ফেঁসেছিলেন। সুশান্ত মৃত্যু এই মামলায় এনেছিল কিছু নতুন মোড়। মাথা চাগাড় দিয়ে উঠেছিল বলিউডের এই পুরানো সত্যি। ফিরে দেখা বলিউডের সেই অন্ধকার জগৎ।
ভারতী সিং ও তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া : পেশায় কমিডিয়ান কিন্তু ব্যাক্তিগত পরিসরে তাঁর জীবন যে এতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন তা মানতে পারেননি খোদ তাঁর অনুরাগীরাও। NCB অফিসাররা এই তারকা দম্পতির অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদকের সন্ধান পায়। আর সেই অভিযোগেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তাঁদের গ্রেফতার করেন। তাঁদের অফিস ও বাড়ি সন্ধান করে মোট ৮৬.৫ গ্রাম মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল।
রিহা চক্রবর্তী : সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রেমিকা। কিন্তু অভিনেতার রহস্যমৃত্যুর পরই যেন সরে যায় সকল মুখোশ। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর রিহার উপর পরকীয়া থেকে সুশান্ত খুন করা পর্যন্ত একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। দেশের সকল মিডিয়া সারাদিন নজর দিয়ে বসে থাকে অভিনেত্রীর উপর। সুশান্ত মৃত্যুর পর তাঁর উপর মাদক সেবন নিয়েও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই একাধিকবার NCB-এর সওয়াল জবাবের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
সুশান্ত সিংহ রাজপুত : মৃত্যুর পরও যেন রেহাই মেলেনি তাঁর। প্রথমে রিহার পরকীয়া তারপর আবার মাদক মামলা। জানা গিয়েছিল, একটা সময় মাদকে ডুবে থাকতেন সুশান্ত। তবে তাঁর এই দশার পিছনে অনেকাংশেই দায়ি ছিলেন তারকার প্রেমিকা। সেই নাকি তাঁকে মাদকে নেশা ধরিয়েছিল।
আরিয়ান খান : সুশান্ত মৃত্যুর বছর ঘূুরতেই নয়া মাদক মামলা মাথা চাড়া দিয়েছিল বলিপাড়ায়। মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি ক্রুজে পার্টি করতে গিয়ে মাদক মামলা ফেঁসে যান বলি বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। টানা এক মাস হাজত বাস ও হয়রানির পর নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি।