ফুটপাত তুলে এনে দিয়েছিলেন সন্তানের স্বীকৃতি! নোংরায় পরে থাকা মেয়েটি আজ রাজপ্রাসাদের রাণী

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) হয়তো আজ আর বেশি ছবিতে দেখা যায় না। কিন্তু তার স্টারডম এবং জীবনধারা আজও একই রয়ে গেছে। তার স্ত্রী যোগিতা বালিও ছিলেন এককালীন নাম করা পর্দা কাপানো অভিনেত্রী। তবে তার সন্তানদের মধ্যে কেউই পারেননি নিজেকে অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত করতে। তার চার সন্তান, রিমো চক্রবর্তী , মিমো চক্রবর্তী ও নামসী চক্রবর্তী ও ছোট মেয়ে দিশানী চক্রবর্তী।

এই দিশনী চক্রবর্ত্তীই নিজের গ্লামারাস লুকের মাধ্যমে নিজের জায়গা পাকা করছেন সংবাদ শিরোনামে। ইন্সটাগ্রামে ক্রমশই বাড়ছে তার ফলোয়ার সংখ্যা। তবে জানেন কি দিশনী মিঠুন এবং যোগীতার নিজের সন্তান নন। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও দিশনী হলেন মহাগুরুর পালিতা কন্যা। কলকাতার একটি পরিক্তত্য এলাকা থেকে দিশানীকে খূঁজে পেয়েছিলেন মহাগুরু। এরপর থেকে তাঁকে সন্তান স্নেহেই বড়ো করেন মিঠুন। সূত্রের খবর খবর, ক্যালিফর্নিয়ার লস এঞ্জেলেস ফিল্ম একাডেমিতে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। স্বপ্ন বলিউড।

disha chokroborty 1

তবে কানাঘুষোইয়ে শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই নাকি বলিউডে ডেবিউ ( Bollywood debut ) করবেন মিঠুন ( Mithun Chakroborty ) তনয়া। নিজেকে যোগ্য নায়িকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি। রূপে অবশ্য এখনই বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের টেক্কা দিতে পারেন তিনি। তার গ্ল্যামার দেখে এখন থেকেই মুগ্ধ নেটপাড়া ( Social media influencer )। পর্দায়ে তাঁকে দেখতে অপেক্ষা করছেন অনেকেই।

disha chokroborty 2

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায়ে ( social media ) বেশ একটিভ দিশানী ( Dishani Chakroborty )। মাঝেমাঝেই নিজের ছবি শেয়ার করেন তিনি। আর ছবির কমেন্ট বাক্সে ভরে যায় নেতিজেনদের প্রশংসা। তার ফ্যাশন সেন্স, স্টাইল স্টেটমেন্ট, গ্লামর দেখে মুগ্ধ নেটপাড়া। ইতিমধ্যেই বহু পুরুষের রাতের ঘুম উড়িয়েছেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তীর কন্যা ( Mithun Chokroborty’s daughter ) হওয়ায় তাকে বলিউডে পা রাখতে খুব বেশি কসরত করতে হবে না। এখন শুধুই বলিপাড়ায়ে ( Bollywood ) পা রাখার অপেক্ষা।

disha chokroborty corrected

মিঠুন চক্রবর্তী ফিল্মি কেরিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে ‘মৃগয়া’ ছবির সুবাদে অভিনয় জীবনে অভিষেক ঘটে মিঠুন চক্রবর্তীর। তবে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে বেজায় বেগ পেতে হয়েছিল অভিনেতাকে। মিঠুনের চেহারা, এমনকী গায়ের রং নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বলিউডের ছবি নির্মাতারা। কাজ চাইতে গেলেই সপাটে মিঠুনের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকে। বলেছিলেন, “আয়নায় নিজের মুখ দেখেছো? কোনও দিক থেকে হিরোসুলভ ব্যাপার আছে তোমার চেহারায়?” দাঁতে দাঁত চেপে আজ তিনি বলিউডের ‘দাদা’। সম্প্রতি মুক্তি পেল তাঁর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘বেস্টসেলার’। মার্চে রিলিজ করবে মিঠুনের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।




Leave a Reply

Back to top button