Mithai: একেবারে জবারানি! সিডের বোমার তার কাটা উস্কে দিল জবার হাস্যকর দুঃসাহসিকতার স্মৃতি

ইতিহাস যেমন ফিরে ফিরে আসে তেমনই ধারাবাহিকের ইতিহাসেও এমন অনেক ঘটনা ফিরে আসে যা মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারেনা। তেমনই ‘কে আপন কে পরে’র ( ke apon k por )জবাকে মনে আছে তো? ভুলবেন বা কী করে? জবা যে বাড়ির পরিচারিকা থেকে ক্রমান্বয়ে ডাক্তার, শিক্ষিকা উকিল সবই হয়ে উঠেছিল। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল যখন সে বাচ্চাদের স্কুলে বম্ব নিষ্ক্রিয় করতে যায়। আজও বাঙালি ভোলেনি জবার বহুমুখী প্রতিভাকে। আর আজ জি বাংলায় সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে গেল।
সকাল সকাল জি বাংলা ( Zee Bangla ) উপহার দিয়েছে ‘মিঠাই’ ( Mithai )ধারাবাহিকের প্রোমো। প্রায় ছয় মাসের ওপর অপেক্ষা করিয়ে একই মাসে দুটো প্রোমো। তবে আগের প্রোমোতে মিঠাইয়ের আসন্ন মৃত্যু দেখিয়ে চিন্তায় ফেললেও, এই প্রোমোতে যা দেখানো হল তা দেখে রীতিমতো হাসির ফোয়ারা ছুটছে নেট মহলে।
কী দেখানো হল? প্রোমোতে ওমি আগরওয়াল আবার আক্রমণ করেছে মিঠাই পরিবারে। তবে এবার বন্দুক দিয়ে একা সিদ্ধার্থ নয়, বোমা দিয়ে গোটা পরিবারকে উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান করে। টাইম বোমা লাগিয়ে রাখে বাড়ির অন্দরে। আর এ সময় সিড ও প্লাস দিয়ে বোমার তার কাটতে যায়। মিঠাই বলে ওঠে ‘গোপাল হেলেপ’। এ যেন সেই জবার দৃশ্য। যেখানে জবা কাঁচি দিয়ে বম্ব নিষ্ক্রিয় করে, শিশুদের বাঁচিয়ে ছিল। সিড ও তাই করল, প্লাস দিয়েই বম্ব নিষ্ক্রিয় করতে গেল। বাস্তবতাকে লঙ্ঘন করে এ কোন পথে হাঁটছে মিঠাই?
একটা ‘মিষ্টি’ পরিবার, ‘মিষ্টি’র ব্যবসা আর কতগুলো তরুণ কলাকুশলীদের নিয়ে মিঠাইয়ের পথ চলা শুরু। প্রথম থেকেই মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নেয় মিঠাই। সিড- মিঠাইয়ের মান অভিমান নিয়ে ধারাবাহিকের পথ চলা শুরু হয়েছিল। ইংরেজি বলা উচ্চ শিক্ষিত সাহেবি কায়দার ছেলে আর গ্রামের প্রাণোচ্ছল মেয়ের প্রেম কাহিনী ছিল কেন্দ্রীয় বিষয় বস্তু। ধীরে ধীরে তাদের পরিবারের আনন্দ হই-হল্লার শরীক হয়ে পড়ে আম-বাঙালি। তবে এখন যেন ধারাবাহিকে বইছে উল্টো স্রোত। মিঠাইয়ে চমৎকারের নামে দেখানো হচ্ছে একের পর এক অস্বাভাবিক দৃশ্য। আজকের এই বম্ব ডিফিউসের দৃশ্য তো সব সীমানা লঙ্ঘন করেছে। এরপর পুনরায় সমালোচনার মুখে পড়তে হবে ধারাবাহিককে। সিডের মতো বুদ্ধিমান ছেলে হঠাৎ যে এরম অদ্ভুতুড়ে হয়ে যাবে তা ভাবেননি দর্শক। তবে যারা ধারাবাহিকের ভক্ত তারাও এমন ‘স্টুপিড’ কাজের সমালোচনা না করে পারছে না।