মা হতে পারবেননা বলেছিলেন ডাক্তার! মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালকিন নীতা আম্বানি গেলেন সারোগেসির পথে

ভারতের সবচেয়ে সুখী এবং সফল গৃহিনীর নাম জিজ্ঞেস করলে প্রায় সকলেই একবাক্যে বলবেন উত্তরটা নীতা আম্বানি। নীতা আম্বানির পরিচয় আর নতুন করে দেবার দরকার নেই। তিনি ভারতের এক নম্বর বিজনেস টাইকুন মুকেশ আম্বানির সুগৃহিনী।

তবে পৃথিবীর সেরা দশ ধনীদের মধ‍্যে অন‍্যতম মুকেশ আম্বানির স্ত্রী এই পরিচয় ছাড়াও নীতা আম্বানির আরো একাধিক পরিচয় আছে। বিজনেস টাইকুন স্বামীর একাধিক ব‍্যাবসা তিনিই দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি নতুন নতুন আইডিয়াও দেন ব‍্যাবসা বাড়ানোর জন‍্য। এর সঙ্গে আইপিএল এর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের মালকিন হিসেবে প্লেয়ার কেনাবেচার সময় থেকে শুরু করে খেলার সময় মাঠে উপস্থিত থাকা পর্যন্ত প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ থাকে নীতার। পাশাপাশি একাধিক সমাজ সেবামূলক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত রাখেন তিনি। আবার দিওয়ালি বা অন‍্য কোন বড় উৎসবে বাড়ির পার্টিতে মনোমুগ্ধকর নাচের মাধ‍্যমেও অতিথিদের মনোরঞ্জন করার দায়িত্ব থাকে নীতার ওপর। এর সঙ্গেই তার যমজ সন্তান ঈশা এবং আকাশ আম্বানির বিয়েতে তাকে দেখা গেছিলো একেবারে ঘরোয়া মাতৃরূপেই।

মুকেশ আম্বানি নীতা আম্বানি

তবে সুখী এবং সফল নীতা আম্বানির গোটা জীবনটা এমনই মসৃণ ছিল না। বরং বিয়ের।  পরেই তিনি তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন। তাকে ডাক্তার বলেন যে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে কোনভাবেই মা হতে পারবেননা নীতা। তবে মা হবার আকাঙ্ক্ষা চিরকালই ছিল তার মধ্যে। তাইতো স্কুলে পড়াকালীনও মা হওয়া নিয়ে হাজার রকম স্বপ্ন দেখে প্রবন্ধ লিখেছিলেন নীতা। তাই ডাক্তারের কথায় প্রাথমিকভাবে যথেষ্ট আঘাত পেলেও খুব দ্রুত বিকল্প পথে সন্তান আনার চেষ্টা করতে থাকেন নীতা। এইসময়েই তিনি সারোগেসির মাধ‍্যমে জন্ম দেন যমজ সন্তান ঈশা এবং আকাশের। তবে সেই পদ্ধতিও বেশ জটিল ছিল এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব হয়ে গিয়েছিল নীতার যমজ সন্তানের। তবে এর কয়েক বছর পর স্বাভাবিক ভাবেই অনন্ত আম্বানির জন্ম দেন নীতা।

নীতা আম্বানি

নীতা আম্বানির প্রসঙ্গে তার মেয়ে ঈশা জানান যে মুকেশ নীতার বিয়ের সাত বছর পর জন্ম হয় তাদের দুই ভাইবোনের। তাদের জন্মের পর নীতা অন‍্য সমস্ত কেরিয়ার ছেড়ে মনোযোগী হন সন্তানদের বড় করে তোলায়। তবে তাদের পাঁচ বছর বয়স হলে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান নীতা। ঈশার কথায় এখনো তাদের মা বাঘিনীর মতো দৃঢ়ভাবে ঘরে বাইরে সমস্তটা সামলে চলেছেন




Back to top button