KK-এর মৃত্যুর জন্য কলকাতা দায়ী! সোশ্যাল মিডিয়ায় রাগে ফুঁসছে বলিপাড়া

অনীশ দে, কলকাতা: প্রথম প্রেম ভাঙার কষ্ট হোক কিংবা বহুদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা, সব মুহূর্তেই চলেছে কেকের গান। এক গোটা প্রজন্মের কাছে কেকে শুধু একজন গায়ক নন, আবেগ। মঙ্গলবার এই আবেগের সাক্ষী ছিল তিলোত্তমা। কিন্তু কখন যে এই আবেগ বদলে যাবে শোকে, তা কেউ আঁচ করতে পারেনি। মঙ্গলবার স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যান কেকে। নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্বমহিমায় দেখা দেন কেকে।
নজরুল মঞ্চে মোট আসন সংখ্যা ২৫০০ সেখানে কেকের অনুষ্ঠান দেখতে পৌঁছায় মোট ৭০০০ লোক। প্রথমদিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে তাদের ভিতরে ঢুকতে দিতে বাধ্য হয় কলকাতা পুলিশ। এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফরহাদ হাকিম জানান, ‘বাচ্চারা গান শুনতে আসলে পুলিশ তো আর লাঠিচার্জ করতে পারে না’। তবে কি উদ্যোক্তা বা আয়োজকদের কোন ভূমিকাই ছিল না? উঠছে প্রশ্ন।
এমনকি কেকের শরীর খারাপ হওয়া সত্বেও কেন তাকে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্টেজে থাকাকালীন যে তার শরীর খারাপ লাগছিল তা প্রত্যক্ষদ্শীরা জানিয়েছেন, তবে তখন কেন কোন পদক্ষেপ নেয়নি উদ্যোক্তারা? কেনই বা হাসপাতালে না নিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে? রয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন কেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী কলকাতা। এই তালিকায় রয়েছেন ওম পুরির স্ত্রী নন্দিতা পুরি।
নিজের ফেসবুক দেওয়ালে তিনি লেখেন, ” পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লজ্জা। কলকাতা প্রশাসন কেকে- কে হত্যা করেছে। তাদের ত্রুটিপূর্ণ নজরুল মঞ্চকে রাষ্ট্রীয় বিদায় দিয়ে ঢেকে রাখছে; ২৫০০ ক্ষমতার অডিটোরিয়ামে ৭০০০ এর ভিড়, বন্ধ এসি; গায়ক প্রচন্ডভাবে ঘামছিলেন। ৪ বার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। এই ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত আবশ্যক এবং ততক্ষণ পর্যন্ত বলিউডের বাংলায় অনুষ্ঠান করা বয়কট করা উচিত।”
তিনি আরও লেখেন, “পুনশ্চ আমি পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতাবাসীকে দোষারোপ করছি না। আমার উদ্দেশ্য সরকার ও প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার দিকে আঙুল তোলা এবং বিশেষ করে নজরুল মঞ্চের কনসার্টের আয়োজকদের দায়ী করা।” এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র জানিয়েছেন, সেখানে কোন ব্যবস্থা ছিল না, এসি একদম ঠিকঠাক চলছিল। যে কোনো কমিশনের কাছে আমি বলতে রাজি।