মিলত না কাজ! রোগা শরীরের জন্য পরিচালকদের অপমানের মুখে পড়তে হত মাধুরী দী‍ক্ষিতকে

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: পরিণীতি চোপরা থেকে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন বা সোনাক্ষী সিন্‌হা থেকে সেরেনা উইলিয়ামস সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বডি শেমিং-এর শিকার কম বেশি সবাই হয়েছেন। কিন্ত জানেন কি ? বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত ( Madhuri Dixit ) নবাগত অবস্থায়ে একাধিক বার একই জিনিসের স্বীকার হয়েছেন। এমনকি যখন তিনি একজন নবাগত ছিলেন তখন তাকে ওজন বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রীতি এই নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন যথেষ্ট রোগা হওয়ার কারণে নানা সময় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে মাধুরী ‘অবোধ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পদার্পণ করেন। তিন বলেন, ‘আমার সময়ের তারকাদের মধ্যে নবাগত হিসেবে আমি খুব রোগা ছিলাম। প্রায়শই শুনতে হত….. এই নায়িকা খুব রোগা, ওকে একটু মোটা হতে বলো। আমার মনে হয় এখন সেই বিষয়টা অনেকটা পালটে গেছে।’

madhuri dixit 1

মাধুরী আরো বলেন,”বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই এই বডি শেমিংয়ের ঘটনা শুরু হয় শৈশব বা কৈশোর থেকে। আমার এক বন্ধুর বাবা তাকে মুটি, মুটকি এই সব নামে ডাকতো। হয়তো ভালবেসেই বলতো। কিন্তু কেন? পরিবারই তো আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। গোটা দুনিয়া থেকে যা আমাদের রক্ষা করবে। সেখান থেকেই যদি আত্মবিশ্বাসে এমন আঘাত আসতে থাকে, তা হলে দুনিয়ার সঙ্গে যোঝার ক্ষমতা আসবে কোথা থেকে?

madhuri dixit 2

তিনি এর সাথেই যোগ করেন যে তিনি যদি কক্ষনো আত্মজীবনী লেখেন তবে আজকের অভিনেত্রীরা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘পরীক্ষা চালিয়ে যান। আপনি সফল বা ব্যর্থ হন কিনা তা ভাববেন না। ব্যর্থতাগুলোই শেখার জায়গা। তবে ব্যর্থতা এও দেখায় যে কখনো কখনো আপনি আপনার সময়ের থেকে এগিয়ে থাকেন। কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার জন্য আপনার মন যেটা চাইবে সেটাই করবেন।’

madhuri dixit 3

এর আগেও ২০২০ সালে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘স্কিনি’ বলে ডাকার কথা স্মরণ করেছিলেন তিনি। তবে এককালীন বলিউডের এই দাপুটে অভিনেত্রী দীর্ঘ ব্রেকের পর পর্দায় কামব্যাক করেন নেটফ্লিক্সের ( Netflix ) ‘দ্য ফেম গেম’-এর ( The Game Fame ) মাধ্যমে। এটি তার প্রথম ওটিটি অভিষেকও বটে। এই সিরিজটিতে মাধুরী অভিনয় করেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা আনন্দের চরিত্রে ( Anamika Anand biography )।




Leave a Reply

Back to top button