“নিজের দোষেই কাস্টিং কাউচের শিকার হন অভিনেত্রীরা “, মল্লিকার মন্তব্য ঘিরে সরগরম বি টাউন

অনীশ দে, কলকাতা: বলিউড এবং কাস্টিং কাউচ যেন একে অপরের পরিপন্থী। লোক সমক্ষে এই বিষয় আলোড়ন ফেলে ২০১৮ সালে। বলিউডের নামজাদা তারকাদের বিরুদ্ধে উঠে আসে ঘৃণ্য অভিযোগ। এই তালিকা থেকে সাজিদ খান, দিবাকর ব্যানার্জী, নানা পাটেকর বাদ যাননি কেউই। এমনকি রনবীর সিংয়ের মত প্রথম সারির অভিনেতাও জানান তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা। এই বিষয়ে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে ওঠে বি টাউন।

এবার অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত (Mallika Sherawat)কাস্টিং কাউচ নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন (Mallika spoke about casting couch)। যা বি টাউনে আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। মল্লিকা জানান নিজের আদর্শ যদি ঠিক থাকে তবে কাস্টিং কাউচের জন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না, এমনকি যারা এর কবলে পড়েছেন সেক্ষেত্রেও তাদেরই দশ রয়েছে (Mallika spoke about casting couch)। তিনি জানান, “আমাকে খুবই কম এইসবের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে এমন পরিস্থিতিতে আমিও অনেকবার পড়েছি।”

mallika 3

“তবে আমাকে সবাই খুবই ভয় পেত এবং কোনো কুপ্রস্তাব দেওয়ার আগেই সবাই নার্ভাস হয়ে যেত আমার যা মনে হয়। আমার এই ভয় না পাওয়া মানসিকতাই আমাকে এই সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করেছে”, মল্লিকা যুক্ত করেন (Mallika spoke about casting couch)। তিনি আরো বলেন যে অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা নিজেকে হেনস্থা হওয়ার সুযোগ করে দেন। মল্লিকা বলেন, ” আমি কোনো পার্টিতে যায় না, কোনো পরিচালক বা প্রযোজকের সাথে হোটেলে দেখা করতে বা কফি খেতে যাই না রাত্রে, আমি মনে করি ভাগ্যে থাকলে তা ঠিক পাওয়া যায় তার জন্য এইসবের প্রয়োজন পড়ে না”।

mallika 2

২০০৩ সালে মল্লিকা বলিউডে পাড়ি দেন ‘খোয়াইস’ ছবির হাত ধরে। এরপর ইমরান হাশমির সাথে কাজ করেছেন ‘মার্ডার’ ছবিতে (Mallika Sherawat)। যা দর্শকদের মনে গভীর দাগ কেটেছিল। এই প্রসঙ্গে বলেন, “পরিবার থেকে বরাবর বাঁধা পেয়েছি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি সেই ছোটবেলা থেকে। বাবা ছিলেন অত্যন্ত রক্ষণশীল। মা এবং দাদাও সেরকম। আমার পাশে কেউ ছিলো না। এক সময় আমি খুব সরল ও সাধাসিধে ছিলাম।”

আরও পড়ুন:“বলিউডকেও পেরিয়ে গেছে দক্ষিণী সিনেমা”, মহেশ বাবু’র বিস্ফোরক মন্তব্যে শোরগোল বি-টাউনে

কিন্তু সফল হওয়ার পরেও বাড়ির সাথে যোগাযোগ ছিল না তেমন। তিনি জানান, ” আমার কাছে চিরকালই টাকা ছিল। অনেক গয়না ছিল। মুম্বাইয়ে পেত চালানোর জন্য সব বিক্রি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের কথা সবসময়ই মনে পড়ত, আমার বাবা আমাকে এও জানান তিনি আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখবেন না”।




Leave a Reply

Back to top button