কিছু না করলেও বকাবকি মিঠাইকে! সিরিয়ালের সিডি বয়ের পৌরষত্ব জাহির বন্ধ হোক, সরব অনুরাগীরা

বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় একটি মুখ ‛মিঠাই’। আর এই ধারাবাহিকের সিডি বয়ের উপর বাংলার যে কত নারীই মন দিয়ে বসে আছেন তা বলা মুশকিল। কিন্তু এই ‛বং-ক্রাশ’-এর উপর বর্তমানে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভক্তরা। কিন্তু কেন? সিডি বয়ের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ জানিয়েছেন সিরিয়ালের একাংশের মহিলা অনুরাগীরা। মিঠাইয়ের উপর সিদ্ধার্থের অকারণে হম্বিতম্বি মোটেই ভালো লাগে না দর্শকদের। হটাৎ হটাৎ মিঠাইয়ের উপর চিৎকার করে ওঠে সিদ্ধার্থ। যা দর্শকদের মোটেই ভালো লাগে না দর্শকদের। সিরিয়ালের সাম্প্রতিকতম পর্বে দেখা গিয়েছে, ছোটজা পিঙ্কির সঙ্গে রান্নাঘরে একটু আনন্দ করছিল, আর ওমনি অফিস থেকে ফিরে সিদ্ধার্থ পিঙ্কির সামনেই বউয়ের উপর চিৎকার করে দিল! এই দেখেই চটেছে ভক্তরা। দর্শকদের মন্তব্য, এর মধ্যে দিয়ে নিজের পৌরষত্ব জাহির করে সিদ্ধার্থ। সারাদিন ঘর-বাইরে একা হাতে সামলাচ্ছেন মিঠাই। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর সিদ্ধার্থের এই ব্যবহার কেনই বা সহ্য করবে মিঠাইরাণী, প্রশ্ন দর্শকদের।
বউ কখনও স্বামীর সম্পত্তি নন, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত ধারাবাহিক নির্মাতাদের, এমনটাই মতামত মিঠাই ভক্ত এক দর্শকের। শুধু তাই নয়! আরেক অনুরাগীর মতে, ধারাবাহিক আমাদের সমাজের আয়না এবং তাঁর পাশাপাশি সমাজের এগুলির প্রভাবও অনেকটা। নির্মাতাদের এমন কিছু দেখানো উচিত নয় যা সমাজে বাজে প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি একজন লিখেছেন, ‘সবকিছুকে বকুনি বলা চলে না। এক তরফা না শুনে চিলচিৎকার করা এটাকে ভদ্রতা বলে না। তবে সিদ্ধার্থ নিজের ভুলটা এইবার বুঝতে পেরেছে এটাই পজিটিভ ব্যাপার’। এ প্রসঙ্গে নিন্দুকরা আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, ‘বাংলা টেলিভিশনের শ্রেষ্ঠ সিরিয়ালে নাকি আবার স্ত্রীদের উপর অত্যাচার করা হয়, এ কেমন ধারাবাহিক?’
তবে শুধুই বিরোধিতা নয়, অনেকে পাশে দাঁড়িয়েছেন সিডি বয়ের। তাঁরা লিখেছেন, ‘সিড মিঠাইকে বকলো বলে কেউ কি সিডের উপর রাগ করেছেন?ধুর! বোঝার চেষ্টা করুন, সিডকে অফিস সামলাতে হয়। ওর তো মাথা গরম হতেই পারে আর বউরা তো সম্পত্তি রাগ হলে তো বউয়ের উপরেই রাগ ঝাড়বে।’ প্রসঙ্গত, এই মামলায় অবশ্য বৌদিমণি সিদ্ধার্থকে আঙুল দিয়ে সত্যিটা দেখিয়ে দিয়েছেন। তোর্সার সাফ কথায়, ‘তুই মিঠাই কে সবার সামনে বকাঝকা করবি তার বেলায় ঠিক আছে আর বাকি কেউ ওকে কিছু বললেই তোর গায়ে ফোসকা পড়ে কেন?’ মিঠাইয়ের নিজস্ব সম্মান আছে, এটা সিদ্ধার্থকে বুঝতে হবে।