পুরানো আক্রোশ! খুনের ভয় দেখিয়ে হুমকি চিঠি সলমনের দুয়ারে, নেপথ্যে কি সেই লরেন্স বিষ্ণোই?

সম্প্রতি পঞ্জাবি গায়ক তথা সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর(Sidhu Moose Wala Death) পর থেকেই চিন্তায় মুম্বাই পুলিশ(Mumbai Police)। ভর্তি সড়কে গাড়িতে লাগাতর গুলি করে খুন করা হয়েছিল পঞ্জাব ও কানাডা বিখ্যাত এই গায়ককে। সেই ঘটনার বেদনা এখনও শিথিল হয়ে যায়নি দেশের কলাকুশলী মহল থেকে। আর তার মধ্যেই হুমকি চিঠি পৌঁছল ভাইজান ও তাঁর বাবা সেলিম খানের ঠিকানায়। এদিন হুমকি চিঠি পেল বলিউড(Bollywood) বিখ্যাত অভিনেতা সলমন খান(Salman Khan ) ও তাঁর বাবা সেলিম খান। সেই  হুমকি চিঠির ভিত্তিতেই যথারীতি মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারীক সূত্রে খবর, সম্ভবত সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকারী অর্থ্যাৎ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং-ই এই হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সলমন খানকে নিশানা করে রেখেছে এই দল। পরিস্থিতির গম্ভীরতা বুঝে ইতিমধ্যে সলমন খান  ও তাঁর বাবা সেলিম খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২৪ ঘন্টা পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

salman khan1

কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সলমন খান?

এই উত্তরের জন্য পিছিয়ে যেতে হবে দু’দশক আগে। প্রথা মতে, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। আর এই কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষাকর্তা বিষ্ণোই বংশের লরেন্স। দু’দশক আগে ১৯৯৮ সাল নাগাদ ভাইজান যোধপুরে একটি সিনেমা শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে বেশ কয়েকবার সলমন খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর থেকেই আবার চাগাড় দিয়ে উঠেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। আগামী লক্ষ্য যে তাঁদের স্থির তা বোঝাতেই হয় তো এই হুমকি চিঠি, এমনই মত পুলিশ মহলের। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিধু মুসেওয়ালা খুনের চক্রে নিজের দায় শিকার করেন লরেন্স বিষ্ণোই। ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই সে ও তাঁর সহকর্মী খুনের দায় শিকার করেন। চিরকালই বিষ্ণোইয়ের নামে হাত-পা কাঁপে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের কর্মীদের। আইনের ছাত্র সে। বয়স ৩০-এর গন্ডিও গড়ায়নি। কিন্তু, তাঁর আগেই হেভিওয়েট গ্যাংস্টারে পরিণত সে। আইনের ছাত্র থাকাকালীন রাজনীতিতে পা নিজের দল তৈরি আর সেখান থেকেই কুখ্যাত গ্যাংস্টারে পরিণতি।




Leave a Reply

Back to top button