প্রথমে প্রত্যুষা তারপর হঠাৎ সুরেখা এবং সিদ্ধার্থ! একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে বালিকা বধূর তারকাদের
যেন মরক লেগেছে ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকের তারকাদের জীবনে। একে একে লম্বা হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। বৃহস্পতিবার মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ‘বালিকা বধূ’ ধারাভাহিকের অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা, আর তারপরেই পিছনে ফিরে তাকালে দেখা মিলছে একই ধারাবাহিকের আরও দুই তারকার। প্রথমে প্রত্যুষা ব্যানার্জি, এরপর সুরেখা সিক্রি এবং সবশেষে সিদ্ধার্থ শুক্লা। সেই গত ২০১৬ থেকে শুরু। তারপর আবার পর পর ধাক্কা ২০২১ এই। ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল মাত্র মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে
২৪ বছর বয়সে গোরেগাঁওয়ের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল ‘বালিকা বধূ’-র আনন্দী অর্থাৎ প্রত্যুষার। যদিও তার পরিবারের কাছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয় সুপরিকল্পিত হত্যা। তাদের অভিযোগের তীর প্রত্যুষার সমকালীন প্রেমিক রাহুল রাজের দিকে। তার অকথ্য মানসিক নির্যাতনেই বাশ্য হয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রত্যুষা এমনটাই মনে করেন প্রৌঢ় দম্পতি।
এরপর চলতি বছরের জুলাইতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুরেখা শিকরি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বালিকা বধূতে দাদিসার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
আর সবশেষে সিদ্ধার্থ শুক্লা। বৃহস্পতিবার সকালেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিগবস ১৩ এর বিজয়ী তথা জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতাল সূত্রে খবর ঘুমের মধ্যে একটি ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি, এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় টুকুও দেননি অভিনেতা। মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগ জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ময়না তদন্তের পরেই অভিনেতার দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমেছে বিনোদন জগতে। ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে ‘আনন্দী’-র দ্বিতীয় স্বামী (শিবরাজ শেখর) চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি।