Sushant Singh Rajput- মৃত্যু উপত্যকায় গোটা বংশ, কেন বারবার বিষাদের ছায়া নেমে আসছে সুশান্ত পরিবারে

অহেলিকা দত্ত, কলকাতা- বলিউডের (Bollywood) বিখ্যাত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) সকলেই এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন সুখ্যাতিমান, দক্ষ, প্রতিভাবান ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তা এবং একজন লোকহিতৈষী ছিলেন। মূলত টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করার মধ্যে দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। তাঁর প্রতিভায় কোটি কোটি ভারতীয়দের মাঝে জায়গা করেছেন তিনি। আগের বছর ১৪ ই জুন তিনি সকলের চোখে জল এনে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে তার ভক্তদের মধ্যে তিনি আজও বেঁচে আছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় একটা বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে সুশান্ত সিং চলে গিয়েছেন অন্য লোকে। কিন্তু মৃত্যুর ফাঁদ তাঁর পিছু ছাড়েনি কোনোভাবেই। এক দুঃসংবাদে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হয় সুশান্তের পরিবারের পাঁচ আত্মীয়ের। তাঁদের এই অপমৃত্যু মন থেকে মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। এখনও তাঁদের তরফ থেকে এছাড়া কোনো খবর আসেনি। মনে থেকে ভেঙে পড়েছে সুশান্ত পরিবার। সুশান্তের বান্ধবী রিহা চক্রবর্তী এই বিষয়ে কোনোরকম মন্তব্য করেননি।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালেই বিহারের লাখিসারাইতে পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছে সুশান্তের আত্মীয়রা। একটা সুমো গাড়িতে সুশান্তের বড় জামাইবাবু ও দুই ভাগ্নে সহ বেশ কয়েকজন সহযাত্রী নিয়ে ফিরছিল গাড়িটি। কিন্তু রাস্তায় একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাদের গাড়ি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় সুশান্তের পরিবারের ৫ আত্মীয়দের এবং তাদের সাথে গাড়ির ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে।
আরও জানা যায় , তারা পরিবারেরই এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যের জন্য গিয়েছিলেন সকলে। সেখান থেকে ফেরার পথেই ভোর ৬টা নাগাদ বিহারের লাখিসারাইয়ের হলসি থানা এলাকায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনাটি। শেষ কৃত্যে গিয়ে যে এমন পরিণতি হতে পারে ইটা স্বপ্নেও ভাবা যায় নি। ইতিমধ্যেই মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিকটবর্তী লাখিসারাই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের পাটনার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। স্থানীয়দের মতামত, ঠান্ডা পরতেই রাস্তায় কুয়াশা ভর্তি থাকে, তার ওপর গাড়ির গতিও বেশি ছিল যে কারণে এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত যারা মারা গিয়েছেন তারা হলেন, লালজিৎ সিং, নোমানি সিং, রামচন্দ্র সিং, ও মজিনা দেবীরা।
উল্লিখিত, গতবছর সুশান্ত চলে যাবার পর ভেঙে পড়েছিল সুশান্তের গোটা পরিবার। বাবা কেকে সিং থেকে দিদি শ্বেতা সিং (Sweta Singh) সুশান্তের মৃত্যুর ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন বহুদিন ধরে। মূলত সুশান্তের দিদি শ্বেতা একাই লড়েছেন। এখনো সোশ্যাল মিডিয়ার দরূন ভাইয়ের ছবি শেয়ার করেন দিদি শ্বেতা। এমনকি তাঁর ভক্তরাও তাঁর ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করে।