নির্লজ্জের মত ফ্লার্টিং! শুটিং ফ্লোরে ধর্মেন্দ্রকে চড় কষিয়ে ছিলেন তনুজা
বলিউডের ভক্ত অথচ ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) চেনেন না এমন মানুষ অনেক কমই রয়েছেন। একসময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একেরপর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। যে সমস্ত ছবি আজও দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বলিউডে অভিনয়ের সূত্রে একাধিক অভিনেত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এমনকি জানা যায় নিজের ছবির নায়িকার হাতেই নাকি চড় পর্যন্ত খেয়েছিলেন অভিনেতা।
বলিউডের বিখ্যাত ধর্মেন্দ্রকে দেখে একসময় অজ্ঞান হয়ে যেতেন শয়ে শয়ে মহিলা। সেখানে ধর্মেন্দ্রকেই শুটিং ফ্লোরেই সপাটে চড় মেরেছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী তনুজা (Tanuja)। আসলে মহিলাদের প্রতি বেশ আকর্ষণ ছিল ধর্মেন্দ্রর। এমনকি অনেক অভিনেত্রীরাও ধর্মেন্দ্রর প্রতিও বেশ আকৃষ্ট হতেন। তবে সেই সমস্ত অভিনেত্রীদের থেকে আলাদা ছিলেন তনুজা।
অভিনয়ের সূত্রে ধর্মেন্দ্র ও তনুজা দুজন ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। শুটিংয়ের ফাঁকে জমিয়ে আড্ডা হোক বা পার্টিতে সুরাপান সবেতেই বেশ স্বচ্ছল ছিলেন দুজনেই। তবে জানা যায় বিবাহিত হলেও ফ্লার্টিংয়ের স্বভাব ছাড়তে পারেননি ধর্মেন্দ্র। সেটারই বড়সড় মাশুল গুনতে হয়েছিল তাকে।
ঘটনাটা ১৯৬৫ সালের, সেই সময় ‘চাঁদ অওর সূরজ’ ছবিতে একসাথে অভিনয় করছিলেন ধর্মেন্দ্র ও তনুজা। শুটিংয়ের মাঝেই তানিয়ার সাথে ফ্লার্টিং শুরু করেন ধর্মেন্দ্র। ব্যাপার বুঝতে পেরে বেশ রেগে যান তনুজা। একসময় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। সেই সময় শুটিংয়ের সেটেই ‘নির্লজ্জ’ বলে ধর্মেন্দ্রর গালে থাপ্পড় কষিয়ে দেন তনুজা। এই ঘটনায় রীতিমত থ হয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র থেকে শুরু করে উপস্থিত বাকিরাও।
অবশ্য এরপরেই পরিস্থিতি বুঝতে পারেন অভিনেতা। নিজের ভুলের জন্য হাত ধরে ক্ষমা চান তনুজার কাছে। এমনকি যাতে অভিনেত্রী রাগ না করে সেই জন্য ভাই হবারও প্রস্তাব দেন তনুজাকে। অবশ্য তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। নিজের দাদাকে দিয়েই দিব্যি কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন সাফ জানিয়ে দেন তনুজা।
এই ঘটনার পরেও অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। একসময় অনেক অনুরোধ করার ফলে ধর্মেন্দ্রর হাতে রাখি পড়িয়েছিলেন তনুজা। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সময় ধর্মেন্দ্র শুধু বিবাহিতই ছিলেন না, বরং দুই সন্তানের পিত ছিলেন। সেই সময় সানি দেওলের বয়স ছিল বছর পাঁচেক আর ববির বয়স ছিল মাস ছয়েক।