‘আমরা একে অপরের জীবনে নাক গলাই না!’, তবে কি ছেদ পড়ল টুইঙ্কেল-অক্ষয় সম্পর্কে?

২১ বছর ধরে সম্পর্কের গাঁটছড়ায় আটকা টুইঙ্কল-অক্ষয়(Twinkle-Akshay)। দুই সন্তান আরভ ও নিতারাকে সঙ্গে করে সুখের সংসার তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দম্পতির রোজনামচার ছবি হামেশাই ভেসে বেড়ায়। যা দেখে এক প্রকার সুখী দাম্পত্য জীবনের পাঠ নেন নেটিজেনরা। তবে একে অপরের থেকে ভীষণ ভাবে আলাদা হয়ে কীভাবে এতটা সুখী থাকেন এই তারকা দম্পতি(Twinkle-Akshay)?- এই প্রশ্ন হামেশাই ভেসে বেড়ায় নেটপাড়ায়।
দিল্লি চাঁদনি চক এলাকায় জন্ম অক্ষয়ের(Akshay Kumar)। গোটা জীবনটা কেটেছে স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে। প্রথমে দিল্লি(Delhi) থেকে মুম্বাই আসা তারপর, সেখানে অভিনয়কে বেছে নিয়ে শুরু স্ট্রাগল। আর এই সবের ফাঁকেই হোটেলে শেফ হিসাবে রান্না করা ও মার্শাল আর্ট শেখা। অপরদিকে, সোনার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহন করা টুইঙ্কেল খান্না(Twinkel Khanna)। সুপারস্টার রাজেশ খান্নার ও ডিম্পল কাপাডিয়ার মেয়ে। সমুদ্রের বুকে ঘেরা এই শহরে চিরকাল বাস।
প্রসঙ্গত, একবার এএনআইকে মজা করে অক্ষয় কুমার বলেছিলেন, “পিন্ড দ্যা মুন্ডা বিয়ে করলেন সাউথের টুইঙ্কেলকে। ও এদিকে ভাবলে, আমি ওদিকে ভাবি। দু’জনে একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে ভেসে চলি।” এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাজের ব্যাপারে দু’জনে একে অপরকে পরামর্শ দেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে অক্ষয় জানান, ‘আমি কিছু জিজ্ঞেস করলে ও পরামর্শ দেয়। যদি বলে ওঁর লেখা পড়তে, আমি তা মন দিয়ে পড়ি। আমার কাছে যদি জানতে চায় কেমন হয়েছে, আমি বলি এটা ভালো না। যদি না জানতে চায়, আমি নিজেকে সে সব থেকে দূরে রাখি। আমি ওঁর জীবনে নাক গলাই না, ওঁ আমার জীবনে নাক গলায় না।’
উল্লেখ্য, নিজেদের জীবনে তাঁরা নিজেকে নিয়ে বাঁচে বলেই জানায় অক্ষয়। অবশ্য তারকার এই মন্তব্যে বেশ শোরগোল পড়েছে নেটপাড়ায়। অনেকের মতে, হয় তো ছেদ পড়েছে টইঙ্কেল-অক্ষয়ের সম্পর্কে। তবে অনেক নেটিজেনরা এই বিষয়ে নাক না গলানোর কথাই বলছেন। তাদের দাবি, মানুষ নিজেদের জীবনকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলবে। প্রসঙ্গত, এত তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই আসতে চলেছে অক্ষয়ের নতুন ছবি। অক্ষয়কে দেখা যাবে, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবিতে। আগামিকাল অর্থ্যাৎ ৩ জুন মুক্তি পেতে চলেছে এই চলচিত্র।