কি শেষমেষ প্রস্রাব পান ! ছবির সিন সুটের শেষে কেঁদে ফেলেছিলেন পরিচালকই
তবে কি সব পারফেকশনিস্টয়ের পিছনে একজন খারাপ মানুষ লুকিয়ে থাকে ? কেনো কারুর বারণ না শুনে প্রসাব পান করাতে গেছিলেন । দেখে নিন

যিনি সবার ক্রাশ, যাকে সকলে চিনে থাকে চকলেট বয় নামেই। যাকে দেখে দর্শক বন্ধুরা তার প্রেমে পড়তেন তখন । প্রতিবারই দর্শকদের সামনে নিজেকে একটু একটু করে তুলে ধরেছেন নানান ধরনের অভিনয়ের মাধ্যমে। সে কোনো রোমান্টিক সিন হোক কিংবা কোনো অ্যাকশন সিন। সবেতেই তিনি বাজিমাত করেছেন।
তিনি হলেন বলিউড জগতের নামকরা অভিনেতা আমির খান। তবে বয়স বাড়লেও তার ফ্যান ফলোয়িং কিন্তু আজও কিছু কম নয়। কিন্তু , এবার এই লাভলি বয়কে নিয়েই উঠে এলো এমন কিছু তথ্য যা শুনে সকলেই হয়ে পড়েন হতবাক।
এমনই কিছু তথ্য উঠে এসেছে ধর্মেশ দর্শনের কিছু বক্তব্যে। ধর্মেশ জানিয়েছেন,২০০০ সালের আমির খানের বক্স অফিস ফ্লপ হওয়া একটি ছবি ‘মেলা’ । যদিও সেই ছবিটিতে বহু মহার দেশও দর্শকদের মন কেড়েছিল। সেই ফিল্মটিরই শুটিং চলাকালীন নাকি নায়িকার হাতে থুথু ফেলার দৃশ্য করার জন্য অভিনেতা আমির খান এক্কেবারে অনড় ছিলেন। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে অ্যালকোহল ভেবে ভুল করে প্রস্রাব পানের দৃশ্যেও জনি লিভারকে দেখা যাওয়ার পরই সেই বিষয়ে নিয়েও তুমুল চর্চা শুরু হয়।
ধর্মেশের মতে, মেলার শুটিংয়ের সময় ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবিটি সুপারহিট হওয়ার কারণে আমির খানের অনেক সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। সেই সময় মেলা ছবির মাধ্যমে ভাই ফয়সাল খানের ক্যারিয়ার গড়ে দিতেও নাকি চেয়েছিলেন আমির।
কিছুদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক ধর্মেশ জানান, মেলা ছবিটির শুটিংয়ের জন্য আমির খান হলিউডের দেখা একটি সিনেমা ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এ প্রস্রাব খাওয়ার বিষয়টি দেখে সেই একই সিন ‘মেলা’ ছবিতে জনি লিভারকে দিয়ে করাতে রীতিমতো জোর করেছিলেন যেখানে স্বয়ং ধর্মেশের আপত্তি ছিল। এবং শত বারণ করা সত্ত্বেও আমির খান ধর্মেশের কোন কথা শুনতে নারাজ ছিলেন।
পরিচালকের কথায়, এই দৃশ্যের শুটিংয়ের পর পরিচালক নিজেই ছবির সেটে কাঁদতে শুরু করেন। এছাড়াও তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মেলায় প্রথমে কাজলকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করায় আমিরের বিপরীতে এই ছবিতে কাস্ট করা হয় টুইঙ্কেল খান্নাকে। এই ছবিতে আমিরের পাশাপাশি তার ভাই ফয়সাল খান ও ঐশ্বর্য রায়ও ছিলেন।
তবে, মেলা ছবিতে মূলত আমির খান তার ভাই ফয়সালের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিলিজ হওয়ার পর বক্স অফিসে ফ্লপ হওয়ায় আমি তার ভাইয়ের ক্যারিয়ার শেষপর্যন্ত গড়ে তুলতে সক্ষম হতে পারেননি।