বাংলাদেশের হিরো আলমের মুখে শোনা গেল রানু মন্ডল এবং ভুবন বাদ্যকরের কথা
রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকর এই দুজনের সঙ্গেই কাজ করেছেন বাংলাদেশের নায়ক-পরিচালক হিরো আলম। এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি ভাইরাল হওয়া কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কেন কাজ করতে চান।

শুভঙ্কর, কলকাতা: পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক হিরো আলম। তিনি তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে সব সময় প্রচারের আলোতে থাকেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। আবার অনেকেই তাঁর কাজের প্রশংসা করেন। হিরো আলম বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন তিনি অনেকটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আজকের এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। তাই অন্যান্য পিছিয়ে পড়া প্রতিভাদেরও তিনি সাহায্য করতে চান। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ রাজ্যে একসময় ভাইরাল হওয়া রানু মন্ডল এবং কাচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের প্রসঙ্গে উঠে আসে। সেখানে তিনি জানান তিনি চেয়েছিলেন তারা যেন আরো জনপ্রিয় হোক।
কয়েক বছর আগে রেল স্টেশনে এক অসহায় মধ্যবয়স্কা মহিলার গান শুনে প্রায় প্রত্যেক ভারতবাসী মহিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর গলায় প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘জিন্দেগি এক পেয়ার কা নাগমা হে’ শুনে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বলিউডের প্রখ্যাত গায়ক এবং সঙ্গীত হিমেশ রেশমিয়া তাঁকে দিয়ে একটি গানও গাওয়ান। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন রানু। কিন্তু ওই যে বলে না হঠাৎ করে হাতে চাঁদ পেলে অনেকের মাথা ঘুরে যায়। ঠিক তেমনি অবস্থা হয় রানাঘাটের রানু মন্ডলের। তারপরে ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে বিভিন্ন জায়গায় ডাকও কমে যায় তার। এখন একটি এক চিলতে ঘরে একা দিন কাটাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে কাচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরও হঠাৎ করেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। দাদাগিরি শো থেকে মদন মিত্রের ডাক পাওয়া সবই চলছিল সমান তালে। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। আজ তারা দুজনেই প্রত্যেকের মন থেকে হারিয়ে গেছেন।
এই দুজনের সঙ্গেই কাজ করেছেন বাংলাদেশের নায়ক-পরিচালক হিরো আলম। এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি ভাইরাল হওয়া কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কেন কাজ করতে চান। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “ রানু মন্ডলের ক্ষেত্রে বলিউডের হিমেশ রেশমিয়া, তার সঙ্গে কাজ করেছেন। তারপরে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন, অন্যদিকে ভূবন বাদ্যকরও তার কাঁচা বাদাম গানের জন্য অনেক পরিচিতি লাভ করে কিন্তু তিনিও একটা সময় হারিয়ে যান। আমি চাইনা এ ধরনের মানুষেরা তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাক। তারা যতটা কষ্ট করে উঠে এসেছে সেটা আমি বুঝি তার জন্যই আমি ওদের সঙ্গে কাজ করি”।