ধারাবাহিকের সেটেই কেটে গেলো অনেকগুলো বছর ঈপ্সিতার
ছোটো থেকেই কেটেছে সেটেই। এক দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এলো ঈপ্সিতা

ছোট্ট মেয়েটি আজ অনেক বড় হয়ে গেল। ২০১০ থেকে কেটে গেছে আজ ১৪ টা বছর। সেই ছোট্ট মেয়েটি তখন ছিল মাত্র ১২ বছরের । খুব একটা সহজ ছিল না ধারাবাহিক জগতে অভিনয় করা। এত ছোট বয়সে একজন অভিজ্ঞের মতো কোনো চরিত্রকে পালন করা তার জন্য কঠিন হলেও হেরে যায়নি সে।
তিনি এখনকার ধারাবাহিকের সকলের চেনা এক মুখ ঈপ্সিতা। তবে তাকে এলদাকেই যেই মনে সবার আগেই চিনে থাকেন তা হলো সুবর্ণলতা । এই ধারাবাহিকের অভিনয় তাকে সুবর্ণ হিসাবে দিয়েছে বিশাল জনপ্রিয়তা। এরপর তার দ্বিতীয় ধারাবাহিক একেবারে বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা অবিভক্ত বাংলার মুসলিম মেয়ে কিরণমালা খাতুনের চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ‘কেয়া পাতার নৌকো’ ধারাবাহিকে। চরিত্রটি তার বয়সের তুলে কঠিন হলেও ইপ্সিতা-দেবোত্তমের কিরণ-সোনাবাবুর জুটি বিপুল সাফল্য পেয়েছিল। এরপর থেকে তাকে দেখা গেছে নানান ধারাবাহিকে। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি মনের মানুষের আগমন ঘটে এই ছোট্ট সুবর্ণলতার। ‘ আলোছায়া ‘ ধারাবাহিক থেকেই সেই ধারাবাহিকের দেওরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ।
২০২২ এর শুরুর দিকে রেজিস্ট্রিও সেরেছিলেন অর্ণব-ইপ্সিতা। যদিও শোনা গিয়েছিল তাঁদের সম্পর্কে নাকি রাজি ছিলনা ইপ্সিতার মায়ের।
জানা গিয়েছিল ২০২৩-এর শুরুর দিকেই আনুষ্ঠানিক বিয়ে সেরে নেবেন অর্ণব-ইপ্সিতা, তবে তার আগেই রাস্তা বদল।
গত বছরের মাঝামাঝি আচমকাই শোনা গেল একসাথে নেই অর্ণব ইপ্সিতা। ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময়ে নাকি সহকর্মী খেয়ালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল অর্ণবের যা মোটেই পছন্দ হয়নি ইপ্সিতার।তবে শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে মিটমাট হয়ে গেছে। সম্প্রতি ‘জল থইথই ভালবাসা’ ধারাবাহিকে ফের একসঙ্গে অভিনয় করছেন ইপ্সিতা এবং অর্ণব। এই ধারাবাহিকেও অর্ণবের বৌদি হিসেবেই ফের আসতে চলেছেন ইপ্সিতা। তবে, জানার বিষয় এটাই রইল যে এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়ের পিরি অবধি যায় নাকি এখানেই তাদের সম্পর্কের ইতি হয়।