মাইকে সমস্যা না থাকতেও একটা ঝিড়ঝিড় আওয়াজ! শহরের বুকে এ কোন অলৌকিক শক্তির মুখোমুখি ঝিলাম

বাংলা ইউটিউবারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নাম ঝিলাম গুপ্তা ( Jhilam Gupta )। নিজের হাসির কন্টেন্টের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন ভরাতে সে দারুণ পটু। সত্যি বলতে শুধুই হাস্যরসে পরিপূর্ণ কন্টেন্ট নয়, সে একজন ব্লগার ও ভ্লগারও। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আজ বঙ্গ ভূমিতে ঝিলাম গুপ্তা নামটিকে ছড়িয়ে দিতে দারুণ ভাবে সক্ষম হয়েছে সে। তাঁর নানা সোশ্যাল মিডিয়া ( Social Media ) পোস্ট মানুষের মধ্যে যে আলোড়ন ফেলে তা সন্দেহাতীত। সম্প্রতি তাঁর করা একটি ফেসবুক পোস্ট ফের ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মুখে মুখে। কোনও সাধারণ দিনের মতোই এই পোস্ট নয়। বাঙালি এই ইউটিউবার তুলে ধরেছে নিজের এক অনুভূতির কথা। যা রীতিমতো শিহরিত করে তুলেছে নেটিজেনদের।
উল্লেখ্য, এদিন এই ইউটিউবার ( Youtuber ) নিজের ফেসবুকে ( Facebook ) ওয়ালে তুলে ধরেন তাঁর এক অভিজ্ঞতার কথা। তবে আর পাঁচটা সাধারণ দিনের অভিজ্ঞতার তুলনায় তা অনেকটাই অন্য রকম। কারণ, তা যে অলৌকিক। লৌকিক বা অলৌকিক এই দুই শব্দ ও এই দুই শব্দে বিশ্বাসী মানুষের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তা চিরকালের। কিন্তু ঝিলামের পোস্ট যেন এদিন সমস্ত দ্বন্দ্বকে ক্ষনিকের বিরতি দেয়। এদিন তিনি লেখেন, “কাল কলকাতার এক বিখ্যাত কবরস্থানে আমার ইউটিউব ভিডিয়োর শুটিং করার উদ্দেশ্যে যাই। সঙ্গে ছিলেন লেখক নিজে, যাঁর লেখা অতিলৌকিক গল্পের বই আমার ভিডিয়োর বিষয় বস্তু। প্রসঙ্গত বলে রাখি, লেখক নিজে তান্ত্রিক সংস্পর্শে ছিলেন বহুদিন। তন্ত্র বিদ্যা নিয়ে চর্চ্চা করে থাকেন নিজেও।”
এই পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও এরপরই যেন সিনেমার পট পরিবর্তনের মতোই সব কিছু বদলে যায়। তাঁর সংযোজন, “লেখক যতক্ষণ কথা বলেছেন, সেই পুরো সময়টা একটা আবছা ঝিড়ঝিড় করে আওয়াজ। অথচ মাইকে কোন সমস্যা ছিলোনা। আমি নিজে শুট করার সময় খেয়াল করেছি, কোন হাওয়াও ছিল না যে সেই আওয়াজ আসবে। সব চেয়ে অবাক করা ব্যাপার, ওই একই ভিডিয়োতে যখন আমি কথা বলেছি, তখন হাওয়া থাকলেও একটুও ঝিড়ঝিড় আওয়াজ আসেনি। আরও অবাক করা বিষয়, আমি ফুটেজ দেখার সময় বাঁ হাত কাঁপছিলো আমার। অলৌকিক ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আমার আছে। কিন্তু নিজের চ্যানেলের ভিডিয়ো করতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। কোন ব্যাখ্যা পাইনি। ভিডিয়োটা লাইভ হলে, আপনারাও আওয়াজটা শুনতে পাবেন।”
ঝিলাম গুপ্তার এই অভিজ্ঞতা ভীষণ ভাবে সাড়া ফেলেছে নেটপাড়ায়। কেউ কেউ তাঁর এই অলৌকিক অভিজ্ঞতায় বিশ্বাস করলেও, অনেকেরই মন মজেছে এই লৌকিক-অলৌকিকের বিতর্কে। তবে ইউটিউবারের মতে, এ প্রসঙ্গে সে নিজেও ব্যখ্যা দিতে সক্ষম নয়।