‘ঠোঁটকাটা’ কবীর সুমন মুখ খুললেই বিতর্ক! তাঁর যে যে বক্তব্য ঝড় তোলে সমাজে…
কবীর সুমনের যে যে বক্তব্যগুলি শোরগোল ফেলে

কবীর সুমনের (Kabir Suman) নাম শুনেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দায়। তাঁর ব্যক্তিত্ব, গান যেমন পরিচিত তেমনই তাঁর ঠোঁটকাটা স্বভাবেরও যথেষ্ট দুর্নাম রয়েছে। বারংবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন কবীর সুমন। ব্যক্তিগত গোপন বিষয়েও রাখঢাক রাখেননি কোনোও। এমনকি যথেষ্ট সংবেদনশীল বিষয়েও তাঁর মন্তব্যে ধিক্কার জানিয়েছেন মানুষ। কবীর সুমনের এমনই কিছু বিতর্কিত মন্তব্যকে তুলে ধরা হল আজকের এই প্রতিবেদনে।
১) হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ কান্ডে যখন রীতিমতো উত্তপ্ত রাজ্যের পরিস্থিতি, সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মন্তব্যে ফের একরাশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়। নিজ সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কবীর সুমন লেখেন, ‘শুরু হয়ে গেছে ফোনে নপুংসকদের আক্রমণ “রাজ্য জুড়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে। গলার আওয়াজ শুনলেই বোঝা যায় চাড্ডি+মাকু। পারফেক্ট ক্লোন। ব্লক করতে করতে ক্লান্ত।” তাঁর এই মন্তব্যে ঝড় ওঠে সোশ্যালে।
২) এক সময়ে এক বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে কবীর সুমন বলেন, ‘যদি কোনোও রাজনৈতিক কারণে না জড়িয়ে বাংলাদেশ তাঁকে নাগরিকত্ব সন্মান দেয় তবে তাঁর ভালো লাগবে।’
আর এই কথাতেই মূহুর্তে বিতর্ক দানা বাঁধে।
৩) নিজের বাবা-মায়ের সম্পর্ক নিয়ে একসময় এমন এক মন্তব্য করেছিলেন কবীর সুমন তাতে হতভম্ব হয়ে যান আমজনতা। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “ছোটোবেলা থেকে
যৌবনকাল অবধি মা-বাবাকে দস্তুরমতো চুমু খেতে দেখেছি। লুকিয়ে নয়, আমার সামনেই তাঁরা আদর করতেন।” নিজ মা-বাবা সম্পর্কে সর্বসমক্ষে তাঁর বক্তব্যে ছিছিক্কার করেন বঙ্গবাসী।
৪) মত পাল্টা মতের ক্ষেত্রেও কবীর সুমনের বক্তব্য বিতর্কে সাড়া ফেলে। পঞ্চায়েত ভোটের তীব্র হিংসা দেখে যখন অপর্ণা সেন বলেন, বাম শাসনের অবসান চাইলেও এমন পরিবর্তন চাইনি, তখন কবীর সুমন পাল্টা জবাবে বলেন, “আমি মোট পাঁচ বার বিয়ে করেছি। কিন্তু যতবারই বিয়ে করা হোক না কেন মনে হবে বিয়ে করে ঠিক হয়নি।”
৫) নিজের ৭৫ তম জন্মদিনে কবীর সুমন এমন এক মন্তব্য করেন যা শোনার পর প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। পঁচাত্তর বছর বয়সে কবীর সুমনের অফুরান এনার্জির রহস্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জবাব দেন “অশ্লীলতাই সব…।” অর্থাৎ এটিই তাঁর পূর্ণ যৌবনের কারণ।
৬) বাংলাদেশ সফরে গিয়ে একসময় কবীর সুমন বলেন, “সুন্দরী মেয়েদের জন্যই বেঁচে আছি”। সুন্দরী মেয়েরা রয়েছে বলেই তাঁর এখনও বেঁচে থাকার ইচ্ছে রয়েছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিতর্কের দানা বেঁধেছিল।
শুধু এইকটা বক্তব্যই নয়। মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন।