“একটা জিনিস তো আপনাদের আছেই একজনের তিনটে বিয়ে”…বাংলা সিরিয়াল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তবে তিনিও দেখেন জানাতে ভুলেননি
সারাদিন ব্যস্ততার পর সময় সুযোগ পেলে বোকাবাক্সে কিংবা ফোনে সিরিয়াল দেখতে ভুলেন না। তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ছিল টেলি একাডেমী পুরস্কারের অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

শুভঙ্কর, কলকাতা: মা-কাকিমা-জেঠিমারা সারাদিন কাজের পর ফাঁকা হন সন্ধ্যাবেলায়। আর এই সন্ধ্যাবেলায় তাদের সঙ্গী টেলিভিশন। এর এখানেই তাদের প্রথম পছন্দ সিরিয়াল। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে স্টার জলসা ও জি বাংলার সিরিয়াল। এক এক পরিবার এক এক চ্যানেল ভালোবাসে। আবার কোন পরিবার দুই চ্যানেলই ভালোবাসে। কিন্তু সারা রাজ্যের দায়িত্ব যার কাঁধে সেও সারাদিন ব্যস্ততার পর সময় সুযোগ পেলে টিভি সেট কিংবা ফোনে সিরিয়াল দেখতে ভুলেন না। তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ছিল টেলি একাডেমী পুরস্কারের অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি গড় গড়িয়ে একের পর এক সিরিয়ালের নাম বলে যান। শুধু নামই নয় সেই সিরিয়ালে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেই সম্পর্কেও তিনি বলেন। এমনকি এও বলেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র বাচ্চা দুটো খুব সুন্দর ভাবে কথা বলে।
মুখ্যমন্ত্রী যে সিরিয়াল প্রেমী সেকথা কারোরই অজানা নয়। এ কথা তিনি নিজেই অনেকবার বলেছেন। বৃহস্পতিবার টেলি একাডেমী পুরস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বিভিন্ন সিরিয়াল ও বাংলার ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বলেন, ‘ আমার বিশ্বাস টেলিভিশনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি একদিন ঠিক মুম্বাইয়ে যাবে। নীল ও তিয়াসার অভিনীত বাংলা মিডিয়াম সিরিয়ালটির ভাবনা ভালো লাগে। এছাড়াও ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র বাচ্চা দুটোর কথাও আমার বেশ লাগে। এমনকি আমি যদি একদিন সিরিয়াল মিস করি তাহলে ভাবতে থাকি পরের দিন কি হবে। এছাড়াও আমি রামপ্রসাদ সিরিয়ালটাও দেখি। যেখানে সব্যসাচী খুব দারুণ অভিনয় করে।’ এছাড়াও রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘ বাংলা সিরিয়াল মানে কুটকাচালি, এর কথা ওকে বলা ও একজনের তিনটে বিয়ে। এছাড়াও পজেটিভ চরিত্রকে নেগেটিভ করে দেওয়া।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও টেলি একাডেমী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের জন্য সকলেই অপেক্ষা করে থাকেন। ২০১৪ সাল থেকে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে আসছে। তবে এবার এই মঞ্চে সম্মানিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সিরিয়ালের ক্রিয়েটিভ টিমের কাছে আবেদন করেন, ‘ মানুষ সবসময়ই খারাপ জিনিসকে আগে গ্রহণ করে। কোন অপরাধমূলক দৃশ্য দেখালে তারপরে তার শাস্তির বিষয়টাকেও যাতে তুলে ধরা হয়। এর ফলে সাধারন মানুষ জাগরিত হবে এবং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও অনেক কাজ করতে পারব।’