আত্মহত্যা সব নয়! জীবনীমূলক বার্তা দিয়ে প্রাণ বাঁচালো মিঠাই, আপ্লুত ভক্তগণ

বিগত কয়েকদিনে বিনোদন জগৎ জুড়ে একের পর এক আত্মহত্যা ঘটেই চলেছে। ব্যক্তিগত অসন্তোষ থেকে শুরু করে পেশাগত চাপ, প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে বহু তারকারাই বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার মত পথ। বিগত কয়েকদিনে একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলেছে বিনোদন জগত থেকে। তারা ভুলে গেছে জীবনে শত সমস্যা আসলেও আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। বরং সমস্যার মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আর এবার সমাজকে এই ইতিবাচক বার্তা দিতে এগিয়ে এল মিঠাই রানী ( mithai give positive lesson about suiside ) ।
অনেক সময় আমরা লক্ষ করে থাকি টিআরপি বাড়ানোর জন্য অনেক ধারাবাহিক এবং ছবিতেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য ঘটনা দেখানো হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা দেখানোর ফলে সমাজ এবং সমাজের মানুষের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে এবার সমাজের ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সামনে এগিয়ে আসে মিঠাই। জি বাংলার অতি জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল মিঠাই। গত বছর থেকেই টিআরপি তালিকা একেবারে শীর্ষে ছিল এই ধারাবাহিক। তবে সম্প্রতি গাঁটছড়া এবং অন্যান্য ধারাবাহিকের জন্য টিআরপি তালিকা থেকে শীর্ষস্থান হারালেও একাংশেও কমে নি এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। আর এবার সামাজিক সর্তকতার জন্য এগিয়ে এল এই ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে এই মুহূর্তে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মোদক পরিবার। রিকি দ্য রকস্টারের বেশ ছেড়ে সিদ্ধার্থ নিজের আসল রূপেই সবার সামনে ধরা দিয়েছে। আর এর সাথে সাথেই ধরা পড়েছে মোদক পরিবারের ক্ষতি চাওয়া সেসব ষড়যন্ত্রকারীরা। মোদক পরিবারের সব থেকে বড় শত্রু ওমি আগারওয়াল এবং সিদ্ধার্থ-র পিসেমশাই যে হাত মিলিয়ে তাদের এত বড় ক্ষতি করছিল, তা কারও অজানা ছিল না। এবার নতুন করে সেসব ষড়যন্ত্রকারীদের নাম সকলের সামনে আসে।
ইতিমধ্যেই দেখা যায় ব্যবসায় ক্ষতি এবং সিডকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ওমি আগরওয়াল এবং পিসেমশাই দুজনকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। নিজেদের ঘরের লোকই যে তাদের এত ক্ষতি করতে পারে তা আন্দাজ করতে পারেনি মোদক পরিবার। তাই এ সকল ঘটনার পর একটু ভেঙ্গে পড়েছিল তারা। সাথে ভেঙে পড়েছিল সিদ্ধার্থর পিসিও। স্বভাবতই নিজের স্বামী যে এরূপ জঘন্য কাজ করতে পারে তা মেনে নিতে পারছিলেন না সিদ্ধার্থের পিসি। এছাড়া অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো বিষন্ন হয়ে শেষমেষ আত্মহত্যার পথই বেছে নেবেন পিসি।
তবে অন্যান্য ধারাবাহিক গুলির চিরাচরিত গল্পের মত মিঠাই এর গল্পে আত্মহত্যা দেখানো হয়নি। বরং ইতিবাচক ভাবেই সাজানো হয় গল্পটি। ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে দেখানো হয় যে পিসির মন ভালো করতে সকলেই ব্যস্ত। আর এরপরই ঠিক করা হয় পিসিকে একটি নাচের স্কুল খুলে দেওয়া হবে। যেহেতু পিসি নাচতে খুবই পছন্দ করেন, তাই নাচের মধ্যে থাকলে তিনি উদাসীন থাকবেন না। আর এরূপ ইতিবাচক বার্তা পেয়ে অনেক আপ্লুত হয় দর্শকরা। সকলের মুখেই শোনা যায় এই ধারাবাহিকের জয়জয়কার।