কোটি টাকার সম্পত্তিকে ঘিরেই কি এই পরিণতি অভিনেত্রীর, পল্লবী রহস্যমৃত্যু মামলায় উঠছে প্রশ্ন

রুপোলি পর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন পল্লবী দে ( Pallabi Dey ) । ‘আমি সিরাজের বেগম’ থেকে শুরু করে ‘মন মানে না’ সহ একাধিক ধারাবাহিক করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে এত সাফল্য আর বেশিদিন দেখতে হল না তাঁর। গত রবিবারই আত্মহত্যা করে নিজের জীবনের ইতি টানলেন পল্লবী। আর তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সামনে আসতে শুরু করেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কখনও তাঁর আর্থিক অবস্থা, আবার কখনও বা তাঁর প্রেমিক সাগ্নিককে নিয়ে প্রকাশ্যে আসছে বহু খবর। সম্প্রতি আবারও এক খবর শোনা গেল ( pallabi Dey family report murder case ) যা শুনে রীতিমতো হতবাক নেটিজেনরা।
‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক রহস্যের মুখ খুলতে থাকে। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু তদন্ত নিয়ে সামনে আসে আরও এক নতুন খবর। আসলে পল্লবী এবং তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক একই সঙ্গে থাকতেন। তবে জানা যায় যে কয়েক বছর আগে রেজিস্ট্রি করে অন্য এক তরুণীকে নাকি বিবাহ পর্যন্ত করেছে সাগ্নিক। আর সেই বিয়েতে সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং পল্লবী। তবে বছরখানেক পর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে ফের পল্লবীর কাছেই ফিরে আসে তাঁর প্রেমিক। আর তখন থেকেই একসাথে থাকতেন তারা। তবে একসাথে থাকলেও দুজনের মধ্যে যে কোনপ্রকার বনিবনা ছিলনা, তা জানা যায় পল্লবীর পরিবার থেকেই।
প্রসঙ্গত রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। তার প্রেমিকের সাগ্নিকই প্রথম পল্লবী ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় রবিবার সকালে সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। পরে ফিরে এলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজার ফাক দিয়ে দেখেন দেহ ঝুলছে পল্লবীর। সাথে সাথে দরজা ভেঙ্গে পল্লবীর দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙ্গুরে নিয়ে যায় সে। তবে পল্লবীকে বাঁচাতে পারেন না তিনি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও পল্লবীর পরিবারের দাবি অন্যকিছুই। তাদের মতে সাগ্নিক এবং তাঁর প্রেমিকা মিলেই খুন করেছে পল্লবীকে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে কনে সাজে ঘর ছাড়া অপরাজিতা! কারণ জানলেই হতবাক হবেন আপনিও
পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ সাগ্নিক এবং পল্লবী নামে ফিক্স ডিপোজিট ছিল যার পরিমাণ ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও নিউটাউনে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে দামি গাড়ি সবই কিনেছিলেন দুজনে তবে তাতে বেশিরভাগ টাকাই দিয়েছিল পল্লবী। তবে এসকল অভিযোগ অগ্রাহ্য করে সাগ্নিক জানান আর্থিক কারণেই চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস ইএমআই-তে কিনে কিভাবে তা শোধ করবেন সেটা পল্লবী বুঝতে পারছিলেন না। তবে সাগ্নিকের এসকল কথা মানতে নারাজ পল্লবীর পরিবার। সাথেই সাগ্নিক এবং তাঁর প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর মা বাবা।
আরও পড়ুন: ভাইজানের নতুন লাভ স্টোরি! প্রেমের বেড়াজালে গিফ্ট করলেন নিজের এই মূল্যবান জিনিস